1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফায়ার সার্ভিসের স্যাটেলাইট ইউনিট স্থাপন করতে চাইছি'

১৪ জানুয়ারি ২০২২

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায়শ ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা৷ এ নিয়ে ডয়চে ভেলের সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াত৷

https://p.dw.com/p/45WyC
ছবি: MOHAMMAD PONIR HOSSAIN/REUTERS

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে উখিয়ার পৃথক দুটি ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে৷ সবশেষ রোববার বিকেলে পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহ কাটা এলাকার ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে যায় শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি৷

এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷ এসব বিষয় নিয়ে ডয়চে ভেলের সাথে কথা বলেছেন বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াত৷

প্রশ্ন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রায় ঘটছে৷ এ ঘটনা নিয়েও অনেকবার কমিটিও করা হয়েছে৷ অগ্নিকাণ্ড ঘটার কারণ জানা গেছে কিনা? কেন বারবার এ ঘটনা ঘটছে?

শাহ্ রেজওয়ান হায়াত : রোহিঙ্গারা অনেক সময় ঘরে লাকড়ির জিনিসও ব্যবহার করে, এই যে অসর্তকতা, এগুলোর জন্য হয়৷

প্রশ্ন: আমরা সম্প্রতি দেখেছি তুরস্কেও হাসপাতাল পুড়ে গেছে৷ সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন

বাংলাদেশে৷ তিনি আসার পর তাদের বেশ কিছু কাজের উদ্বোধনও করেছেন তিনি৷ এ ঘটনার পরপরই আমরা বিভিন্ন জনের কাছে শুনেছি রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজেরাই আগুন দিয়েছে৷ এই অভিযোগটি কতটুকু যৌক্তিক?

শাহ্ রেজওয়ান হায়াত: এ ব্যাপারটি আমি বলতে পারবো না, কারণ আমি তো গোয়েন্দা সংস্থার লোক না৷ তবে এটা খুব সম্ভবত কয়েকদিন আগে আইওএম-এর (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা) একটা সাইটে আগুন লাগে৷ তার আশেপাশে তো কোনো শেল্টার ছিল না৷ এটা বিভিন্নজনে বিভিন্ন কারণে করতেই পারে বা বিভিন্ন সন্দেহ হতেই পারে৷ কিন্তু আমি আমরা আসলে জানি না৷

বিভিন্ন সন্দেহ হতেই পারে৷ কিন্তু আমি আমরা আসলে জানি না: শাহ্ রেজওয়ান হায়াত

প্রশ্ন : রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে৷ এটা আবার বিভিন্ন সময় ব্যাপক বিস্তৃতি আকার ধারন করছে৷ এ ঘটনায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কেন? ওখানে কি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের সংখ্যা কম, নাকি অন্য কোনো কারণ?

শাহ্ রেজওয়ান হায়াত: ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, আমাদের বিল্ডিং বাড়ানো হচ্ছে৷ আর একটা বিষয় হলো পানি তো সব জায়গায় পাওয়া যায় না৷ পানি থাকাটাও তো দরকার৷ দুই নাম্বার হলো বাঁশ এবং তারপোলিং, এগুলো কিন্তু একটার পাশে আরেকটা লাগানো, যার ফলে ইজিলি স্প্র্যাডআউট হয়৷

প্রশ্ন : কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফে দুইটি বিশাল রিফিউজি ক্যাম্প৷ এ ক্যাম্পে ভবিষ্যতে যাতে অগ্নিকাণ্ড না ঘটে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ আপনারা নিচ্ছেন কিনা?

শাহ্ রেজওয়ান হায়াত: আমরা আসলে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কিছু স্যাটেলাইট ইউনিট স্থাপন করতে চাচ্ছি৷ উখিয়া এবং টেকনাফে৷ অলরেডি উখিয়ার ৪ নাম্বারে একটি স্থাপন করা হয়েছে৷

প্রশ্ন : যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য কি সহায়তা দেয়া হচ্ছে?

শাহ্ রেজওয়ান হায়াত: যখন আগুন লাগল তখন আমরা তাদের শুকনো খাবার দিলাম, বিভিন্ন লার্নিং সেন্টার, কমিউনিটি সেন্টার অফিসে তাদের আশ্রয় দিলাম৷ পরদিন সকালে তাদের নাস্তা দেয়াসহ আপাতত মাথা গোঁজার জন্যে শেল্টার দেয়া হলো এবং আমাদের তরফ থেকে আমরা বেশকিছু তাঁবু স্থাপন করলাম৷ আপনি যদি ছবি দেখে থাকেন তাহলে দেখতে পাবেন অনেক তাঁবু আমরা দিয়েছি এবং আমরা এখন একটা সাইট ওপেনিং করতেছি, সেখানে টয়লেট হয়ে গেছে৷ এটা হয়ে গেলে পুরোদমে আমাদের শেল্টার স্থাপন কার্যক্রম শুরু হবে৷

প্রশ্ন : কী সংখ্যক ঘরবাড়ি বা দোকান পাট পুড়ে গেছে?

শাহ্ রেজওয়ান হায়াত: পুরোপুরিভাবে পুড়ে গেছে এরকম শেল্টারের সংখ্যা হলো ৩৮৫৷ আংশিক সহ টোটাল ৪৩৫টি শেল্টার৷

প্রশ্ন : অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা তাঁবু পেয়েছে?

শাহ্ রেজওয়ান হায়াত: সবাই আপাতত মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে গেছে৷ কোনো হতাহত হয়নি, ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১,৯৮৮ জন৷