1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিফার বিরুদ্ধে আবার দুর্নীতির অভিযোগ

১১ মে ২০১১

সেপ ব্লাটার যখন তৃতীয়বারের জন্য ফিফার প্রধানের পদ আঁকড়ে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই ফিফার বিরুদ্ধে আরও একঝাঁক নতুন দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো৷

https://p.dw.com/p/11DLh
ARCHIV - FIFA-Präsident Joseph Blatter spricht bei einer Pressekonfernz in Zürich am 29.10.2010. Nach der Kritik am umstrittenen WM-Votum hält Blatter Konsequenzen im Fußball-Weltverband für unumgänglich. «Doppelvergaben halte ich nicht für sinnvoll», sagte der Schweizer in einem dpa-Interview. Zudem kündigte er eine Task Force an, die das ramponierte FIFA-Image «wieder etwas aufpolieren». Foto: Alessandro Della Bella (zu dpa 0285 vom 09.12.2010) +++(c) dpa - Bildfunk+++
সেপ ব্লাটারছবি: picture-alliance/dpa

ফিফার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন ঘটনা নয়৷ কিন্তু মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ফুটবল সংগঠনের প্রাক্তন প্রধান ডেভিড ট্রিসম্যান যেভাবে ফিফার শীর্ষ কর্মকর্তাদের একের পর এক কার্যকলাপ তুলে ধরছিলেন, তখন এক ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠছিলো৷ ব্রিটেনের এক সংসদীয় তদন্ত কমিটির সামনে তিনি ফিফার নির্বাহী কমিটির চার সদস্যের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন৷ ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চেয়েছিল ব্রিটেন৷ সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর যেসব প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে এই কমিটি৷

ট্রিসম্যান দাবি করেছেন, ফিফার কর্মকর্তা ঘুস বা অন্য কোনো অনৈতিক কাজের বিনিময়ে ইংল্যান্ডকে সমর্থন করতে প্রস্তুত ছিলেন৷ এঁরা হলেন ত্রিনিদাদের জ্যাক ওয়ার্নার, প্যারাগুয়ের নিকোলাস লেয়স, ব্রাজিলের রিকার্দো তেশেরা ও থাইল্যান্ডের ওয়ারাউয়ি মাকুদি৷ ইংল্যান্ড অবশ্য ঘুসও দেয় নি, বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগও পায় নি৷ অন্যদিকে আফ্রিকান কনফেডারেশনের সভাপতি ইসা হায়াতু ও আইভরি কোস্টের জাক আনুমা ১৫ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে কাতারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে কাতার৷ উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগের কারণে গত বছর ফিফা নাইজেরিয়ার আমস আমাদু ও তাহিতির রেনাল্ড তেমারিকে শাস্তি দিয়েছিল৷

মোটকথা ফিফার ২৪ সদস্যের নির্বাহী কমিটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ সদস্যের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে৷ ফিফার প্রধান সেপ ব্লাটারও রেহাই পান নি৷ ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে জিততে তিনি ঘুস ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে ২০০২ সালে অভিযোগ করেছিলেন ফিফার তৎকালীন মহাসচিব মিশেল জেন রুফিনেন৷

একের পর এক অভিযোগের ফলে ফিফার ভাবমূর্তির যে চরম ক্ষতি হচ্ছে, ব্লাটার সহ সব মহলই এবিষয়ে একমত৷ ব্লাটার অবশ্য নির্বাহী কমিটির সদস্যদের হয়ে কোনো সাফাই গাইছেন না৷ তাঁর দাবি, তিনি নিজে কোনো অন্যায় করেন নি৷ কিন্তু আগামী ১লা জুনের নির্বাচনে কাতারের প্রার্থী মহম্মদ বিন আম্মাম এই সংগঠনের খোলনলচে বদলে নতুন সূচনা করার সুযোগ পেতে পারেন, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য