1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিপাইন্সে মুসলিম স্বায়ত্তশাসনের জন্য গণভোট

২১ জানুয়ারি ২০১৯

খ্রিষ্টানপ্রধান দেশ ফিলিপাইন্সের মিন্দানাও দ্বীপের দুটি মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় সোমবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এতে ঐ এলাকায় স্বায়ত্তশাসন দেয়া উচিত হবে কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3BudO
Philippinen Referendum der Muslime
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Calupitan

ভোটার ছিলেন প্রায় ২৮ লাখ৷ চারদিনের মধ্যে ফল জানা যেতে পারে৷ ‘হ্যাঁ' ভোট জয়যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন৷

ফিলিপাইন্সের এই অঞ্চলটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অস্থিতিশীল ও অবহেলিত এলাকাগুলোর একটি৷ সেখানে পর্যাপ্ত অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরি সুবিধার অভাব রয়েছে৷ সরকারি হিসেবে, ফিলিপাইন্সে দারিদ্র্যের হার শতকরা ২১ দশমিক ৬ হলেও মিন্দানাওয়ের অর্ধেকের বেশি পরিবার দরিদ্রতার শিকার৷ শিশুদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার হারও ফিলিপাইন্সের অন্যান্য এলাকার চেয়ে কম৷

বিভিন্ন সময়ে ঐ অঞ্চলের এমন দুরবস্থার সুযোগ নিয়েছে জলদস্যু, অপহরণকারী গোষ্ঠীসহ ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ৷

আইএস সমর্থনকারী একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ২০১৭ সালে মিন্দানাওয়ের মারাউয়ি শহরের দখল নিয়ে নিয়েছিল৷ পরে প্রায় পাঁচ মাস ধরে অভিযান চালিয়ে শহরটি পুনরায় দখলে নেয় সরকার৷ তখন থেকে মিন্দানাওয়ে সামরিক আইন জারি রয়েছে৷

Philippines: "Ground Zero" in Marawi

এক হিসেব বলছে, গত শতকের সত্তরের দশক থেকে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকারের সংঘর্ষে অন্তত এক লক্ষ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷

এই অবস্থায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট' বা এমআইএলএফ ও সরকার যৌথভাবে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে৷ সোমবারের গণভোট সেই পরিকল্পনার একটি অংশ৷

গণভোটে ‘হ্যাঁ' জয়ী হলে এমআইএলএফ-এর নেতত্বে ‘বাঙসামরো ট্রানজিশন অথরিটি' গঠন করা হবে, যা ২০২২ সালের নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবে৷ উল্লেখ্য, মিন্দানাওয়ের মুসলমানদের ‘বাঙসামরো' নামে ডাকতো দেশটির স্প্যানিশ ঔপনিবেশিকরা৷ পরবর্তীতে এলাকাটিও বাঙসামরো নামে পরিচিত হয়ে ওঠে৷

২০২২ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ৮০ সদস্যবিশিষ্ট একটি সংসদ গঠিত হবে৷ পরে সংসদই একজন মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করবে৷

বাঙসামরোতে স্বায়ত্তশাসন এলে অঞ্চলটির বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এছাড়া সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ এসবও কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য