1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফের রকেট হামলা বাগদাদে

৯ জানুয়ারি ২০২০

মঙ্গলবারের পর বুধবারও রকেট হামলার খবর এলো ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে। তবে তাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

https://p.dw.com/p/3VuzB
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. D. Josek

ফের রকেট হামলার খবর এল ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে। এবারের লক্ষ্য ছিল বাগদাদের গ্রিন জোন। অ্যামেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ওই গ্রিন জোনে অবস্থিত। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, রকেট হামলা হলেও, ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।

মঙ্গলবার ইরাকে অবস্থিত একাধিক মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে এক ডজন ব্যালেস্টিক মিসাইল ছেড়ে ছিল ইরান। তাদের দাবি ছিল, এর ফলে অন্তত ৮০ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। পরে মার্কিন প্রেসিডন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য সে কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ইরানের হামলায় একজনও মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়নি। বরং তিনি দাবি করেছেন, ইরানের হামলার চরিত্র দেখে বোঝা গিয়েছে যে, তারা পিছু হটেছে। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের বাগদাদে রকেট হামলা উল্লেখযোগ্য।

ইরাকের যৌথ বাহিনীর তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, দু'টি রকেটই কম শক্তি সম্পন্ন ছিল। ফলে কোনও রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কারা এই রকেট হামলা চালালো তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইরান এখনও পর্যন্ত এই হামলার কথা স্বীকার করেনি।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইরাকে অবস্থিত ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিও এ কাজ করে থাকতে পারে। বস্তুত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট মুখে যাই বলুন, পেন্টাগন একটি বিষয় নিয়ে বেশ চিন্তিত। নিহত ইরানের জেনারেল কাসিম সুলেইমানি ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর হত্যার বদলা নিতে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি কী ভাবে আক্রমণ চালাবে তা বলা কঠিন। এ দিনের রকেট হামলাও তাদের কাজ কি না, তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। অ্যামেরিকার ধারণা, ইরান সরাসরি যুদ্ধে না গেলেও ওই গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাবে। আরও একটি বিষয় অ্যামেরিকাকে ভাবাচ্ছে। ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা আটকানোর মতো রসদ নেই। মিসাইল ডিফেন্স টেকনোলজি সেখানে এই মুহূর্তে লাগানো কঠিন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে মঙ্গলবার ইরানের হামলায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কোনও রকম ক্ষতি হয়নি, এমনটা ভাবার কারণ নেই বলেই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।

এসজি/জিএইচ (সিএনএন, রয়টার্স)