1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেলানী হত্যার বিচার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২ আগস্ট ২০১৩

বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হচ্ছে ১৩ই আগস্ট৷ ভারতের কুচবিহারে বিএসএফ-এর বিশেষ আদালতে এই বিচার হবে৷ বাংলাদেশ থেকে এই বিচারকাজে অংশ নিতে আইনজীবী এবং সাক্ষীসহ মোট চারজন সেখানে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/19IvJ
ছবি: AP

২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশের কুঁড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর হাতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী৷ হত্যাকাণ্ডের পর তার লাশ সীমান্তের কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকে৷ সেই ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা দুনিয়ায় এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷

শুরু থেকেই বাংলাদেশ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে আসছিল৷ ভারত ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত বিএসএফ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে এফআইআর দাখিল করেছে৷ এখন শুরু হবে বিচার৷ আর এই বিচার করতে কুচবিহারে বিএসএফ-এর বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছে৷ মামলায় আইনজীবী হিসেবে থাকছেন কুঁড়িগ্রাম জেলা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন, সাক্ষী হিসেবে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মামা আব্দুল হানিফ এবং বিজিবি-র প্রতিনিধি হিসেবে লে. কর্ণেল জিয়াউল হক খালেদ কুচবিহারে যাবেন৷

Grenze Patrouille Indien Pakistan
সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে কবে?ছবি: dapd

সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন ডয়চে ভেলেকে জানান, ফেলানীর লাশের সুরতহাল এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, সেই সময়ে কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি ছাড়াও ফেলানীর বাবা এবং মামা হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী৷ এছাড়া বিএসএফ এই ঘটনায় সেখানে এফআইআর দাখিল করেছে৷ তাতে একজনকে অভিযুক্ত করে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া, হত্যাকাণ্ডের সময় কুঁড়িগ্রাম সীমান্তে দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যদের ‘ডিউটি রস্টার'-ও আছে৷ এ সব দিয়েই মামলার অপরাধী এবং অপরাধ প্রমাণ করা যাবে৷

তিনি বলেন, বিএসএফ-এর বিশেষ আদালতে তাঁর প্রধান যুক্তি হবে ফেলানী যদি কোনো অপরাধও করে থাকত তাহলে তাকে আটক করে বিএসএফ তাদের আইন এবং ১৯৭৪-এর সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী শাস্তি বা ব্যবস্থা নিতে পারত৷ কিন্তু কেন একজন কিশোরীর জীবন কেড়ে নেয়া হলো?

লিংকন জানান, তাঁরা ন্যায় বিচার আশা করেন৷ ভারত বিচারের উদ্যোগ নিয়ে তাদের সদিচ্ছার পরিচয় দিয়েছে৷ আর এই বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে৷ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার ভাব ফিরে আসবে৷ কমে আসবে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড৷ বিএসএফ সদস্যরা বুঝতে পারবেন গুলি করলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে৷ তিনি জানান, তাঁদের চারজনকেই ভারতের ভিসা দেয়া হয়েছে৷ তাঁদের কাছে পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রও৷ ঈদের পরই তাঁরা মামলার জন্য কুচবিহার যাবেন৷

এদিকে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, তিনি আর কখনোই তাঁর ফেলানীকে ফিরে পাবেন না৷ কিন্তু হত্যাকাণ্ডের বিচার হলে তিনি শান্তি অবশ্যই পাবেন৷ তিনি চান আর যেন কোনো ফেলানীকে জীবন দিতে না হয়৷ তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে তাদের তিন লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া আর কোনো সহায়তা তাঁরা পাননি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য