1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকাররা সাবধান, নজর রাখছেন বাবা-মা

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০

বিশ্ববিদ্যালয়গামী তরুণ-তরুণী ফেসবুকাররা সাবধান৷ ফেসবুকে নজর রাখছেন বাবা-মা, অভিভাবকরা৷ সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, কার সঙ্গে ছবি তোলে কিংবা কী খাচ্ছে, সব জানার এক অনন্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে ফেসবুক৷

https://p.dw.com/p/PFW2
সামাজিক নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনার শেষ নেইছবি: picture alliance / dpa

সাম্প্রতিক এক জরিপ জানাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের ৭৫ শতাংশের অভিভাবকই ফেসবুক ব্যবহার করেন সন্তানের খোঁজখবর রাখতে৷ তবে অনেক তরুণই বাবা-মাকে ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে নিতে চায়না৷ কেননা, নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি কিংবা বিশেষ বন্ধুর খবর অভিভাবকদের জানাতে অনীহা তাদের৷ দুই-তৃতীয়াংশ তরুণের মত এমনটাই৷

ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর সন্তান চাইলে বাবা-মাকে ছেড়ে অন্যত্র বাস করতে পারে৷ এই সুযোগ নিয়ে গৃহত্যাগীদের অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর৷ এই জরিপ চালনায় সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান এন্সলিশ জানাচ্ছে, ঘরছাড়াদের ৭২ শতাংশই অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগে ইন্টারনেটের সহায়তা নেয়৷ তবে এসব তরুণরা একইসঙ্গে আরো কয়েক উপায়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে৷ সেক্ষেত্রে মোবাইল ব্যবহারের হার ৭০ শতাংশ, মানে ইন্টারনেটের চেয়ে কম! তারও কম, মানে মাত্র সাত শতাংশ তরুণের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম সনাতনী চিঠিপত্র৷

Flash-Galerie Oktoberfest 2009
পার্টির এমন ছবি পরিবারকে দেখাতে চায়না অনেক তরুণী (ফাইল ফটো)ছবি: AP

তবে, বিপদের কথাও শোনাচ্ছে এই জরিপ৷ বর্তমানের ফেসবুক-টুইটার ক্রেজ নাকি তরুণ-তরুণীদেরকে আগের চেয়ে গৃহকাতর করে তুলছে৷ ২৫ বছরের কম বয়সী ৬২ শতাংশের দাবি, বাবা-মায়ের সঙ্গ ছাড়ার পরও সেখানকার স্মৃতি ভুলে থাকা বড় কষ্টকর৷ তবে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গৃহকাতরতাও কেটে যায় অনেকটা৷

অবশ্য ফেসবুকে সন্তানের খোঁজখবর রাখার বিষয়টিকে ঠিক পছন্দ করছেন না সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ক্রিষ্টিনা ভেবার৷ এই জরিপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইদানিং বাবা-মায়েরা গৃহত্যাগী সন্তানদের নিয়ে বেশি চিন্তা করেননা৷ কারণ, তাদের খোঁজ নেয়ার নানা উপায় রয়েছে৷ তবে, ইন্টারনেটের সন্তানদের গোপনীয়তা নিয়ে ঘাঁটাঘাটি খুব একটা না করাই ভালো৷

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে এক হাজার শিক্ষার্থী এবং এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তানের অভিভাবকের মধ্যে চালানো হয়েছে এই জরিপ৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার