1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুক জেন-এক্স আসছে সিঙ্গাপুরি রাজনীতিতে

৬ সেপ্টেম্বর ২০১০

সিঙ্গাপুরের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলায়তনে এবারে বোধহয় নতুন হাওয়ার দোলা লাগলো! তরুণ প্রজন্মের, বিশেষ করে সেদেশের ফেসবুক প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতি-ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/P5G7
সিঙ্গাপুরে ফেসবুক প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতি-ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছেছবি: picture alliance/dpa

সিঙ্গাপুরের ফেসবুক প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতি-ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে৷আসছে ২০১২ সালের নির্বাচনে সম্ভবত এই ফেসবুক প্রজন্মের ইচ্ছেরই প্রতিফলনই ঘটতে যাচ্ছে৷ কারণ, দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিরোধী দলে থাকার বিষয়টি বেশ বিপত্তিরই বটে৷ কিন্তু ওয়ার্কার্স পার্টি কর্মী, ইতিহাসের ছাত্র বার্নাড চেন এই বিষয়টি অনেকটাই সহজ করে নিয়েছেন৷ বার্নার্ড দিব্যি তাঁর ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, মিটিং চালাচ্ছেন দলের ভেতরে, এমনকি নানারকমের কর্মযজ্ঞও তাঁর রুটিন কাজে দাঁড়িয়েছে৷

২৪ বছরের এই তরুণ আদতে সিঙ্গাপুরের ফেসবুক জেনারেশনের প্রতিনিধি৷ এই নতুন প্রজন্মের যারা, তারা এখন সিঙ্গাপুরের মসনদে দীর্ঘদিন যাবৎ জেঁকে বসে থাকা পিপলস অ্যাকশন পার্টি বা প্যাপ- এর বিরুদ্ধে লড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ উল্লেখ্য, প্যাপ ৫১ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে ক্ষমতায় রয়েছে৷ সংসদের ৮৪টি আসনের মধ্যে ৮২টার দখলই এখন প্যাপ-এর৷

World Cyber Games in Köln
ছবি: picture-alliance/ dpa

তবে সাধারণ নির্বাচন ২০১২ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ সিঙ্গাপুরিই তাড়তাড়ি নির্বাচন আশা করছেন৷ সঙ্গত কারণেই সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই বেশ তোড়জোড় করে তাদের দলে নতুন মুখ, নতুন সদস্য বাড়াতে চাইছেন৷ আর এই নতুন সদস্যদের অধিকাংশই নতুন প্রজন্ম বা ফেসবুক জেনারেশনের৷

এদিকে আবার সম্প্রতি এদেশের সরকারও ভোটার-বান্ধব নিয়মকানুন বানাতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে৷ এসব কারণে অনেকেই নির্বাচন দ্রুত এগিয়ে আসার সম্ভাবনার বিষয়টিতে আশাবাদী হয়ে উঠছেন৷যেমন চেন এর কথাই বলা যায়, সংবাদমাধ্যমকে তরুণ প্রজন্মের ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মী চেন জানিয়েছেন যে, তাঁর দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে এবং তাঁরা এবারে জনগণের সমর্থন পেতে চাইছেন৷

চেনের চাওয়াগুলোর একটি হচ্ছে- ভোটার বয়সসীমা কমানো, এখনকার ২১ বছরের বয়সসীমাকে কমিয়ে ১৮তে নিয়ে আসা৷ অর্থ দাঁড়াচ্ছে, রাজনীতিতে ফেসবুক এবং টুইটার জেনারেশনকে অর্ন্তভূক্ত করা৷ এটি আসলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্যাপ-এর কঠোর শাসন আর নানারকম নিয়মে অতীষ্ঠ নতুন প্রজন্মেরই প্রত্যাশা৷

মাঝেমধ্যে মিডিয়ার ওপর প্যাপ-এর নানান খবরদারি আর পুলিশি হাঙ্গামা সত্ত্বেও সিঙ্গাপুরের এই নতুন প্রজন্ম ব্লগে, ফেসবুকে, দ্য অনলাইনসিটিজেনডটকম এবং অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে প্যাপ-এর বিরুদ্ধে বেশ ঝেড়েই কাশছে৷

যদিও প্যাপ এর এই ৫১ বছরের শাসনামলে সিঙ্গাপুর অনেকখানি এগিয়েছে৷ সিঙ্গাপুর পৃথিবীর ধনী দেশগুলোর কাতারে দাঁড়াতে পেরেছে৷ কিন্তু এক অর্থে এই উর্ধ্বশ্বাস প্রগতি মানুষের গণতান্ত্রিক স্বস্তিবোধটুকুকে কেড়ে নিয়েছিলো৷

প্রতিবেদনঃ হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনাঃ সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়