1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুক শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে বাংলাদেশে

৩ জুন ২০১০

সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুক বাংলাদেশে আবারো খুলে দেওয়া হতে পারে৷ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এ কথা বলা হলেও, ঠিক কবে এটা হবে - তা জানা যায় নি৷

https://p.dw.com/p/NgLw
ফেসবুকের লোগো

নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না৷ জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন বা বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ৷ তবে তাঁর কথায়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ইসলামবিরোধী দুটি ফ্যান পেইজ এবং একটি অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নিয়েছে৷ আর অপর অ্যকাউন্টও তারা সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক৷

শুধু তাই নয়, ফেসবুকের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জো সুলিভান-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জিয়া আহমেদ জানান যে, ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে - এমন কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি হয়েছে ফেসবুক৷ অর্থাৎ এরপর থেকে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে সজাগ থেকে সাইটটির নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়টির দিকে নজর রাখতে রাজি হয়েছে সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ৷ প্রসঙ্গত, ফেইসবুক বন্ধ করে দেয়ার পর এর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এটিই প্রথম জবাব৷

Protest gegen Facebook in Pakistan
পাকিস্তানেও ওয়েবসাইটটি সাময়িক বন্ধের শিকার হয়েছিলছবি: picture alliance / dpa

গত ২৯শে মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীর ব্যাঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশের অভিযোগে ফেসবুক সাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাদেশে৷ একাধিক আইডি ব্যবহার করে নানা ধরনের সাইবার অপরাধ করার অভিযোগে গ্রপ্তার করা হয় মাহবুব আলম রবিনকেও৷ বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ অবশ্য তখনই জানান যে, এ নিষেধাজ্ঞা সাময়িক এবং ‘আপত্তিকর' বিষয়গুলো তুলে নেওয়ার পরই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে৷ উল্লেখ্য, এর আগে ফেসবুক-এ নবী হযরত মুহাম্মদের (সাঃ) ছবি আঁকার প্রতিযোগিতার প্রতিবাদে বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ঢাকায় সমাবেশ করে এবং ফেসবুক নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়৷ পাকিস্তান, সিরিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও ইরানেও ওয়েবসাইটটি সাময়িক বন্ধের শিকার হয়েছিল৷

২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এই সামাজির নেটওয়ার্কিং সাইটটি৷ ‘চেকফেসবুক.কম' নামক একটি সাইটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় আট লাখ ৭৬ হাজার ২০৷

প্রতিবেদন : দেবারতি গুহ / বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

সম্পাদনা : রিয়াজুল ইসলাম