1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের জরিমানা ৫০ লাখ

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার আইন বদল এনে ফেয়ারনেস ক্রিমের মতো জাদুকরী পণ্যের বিজ্ঞাপনে জরিমানা বসাতে চলেছে৷ দোষী সাব্যস্ত হলে হতে পারে পাঁচ বছরের জেলও৷

https://p.dw.com/p/3XSJo
Frau nimmt Lotion aus Flasche
ছবি: Colourbox/A.N.Cherkasov

ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে একটি খসড়া বিল ৩ ফেব্রুয়ারি প্রস্তাবিত হয় লোকসভায়৷ বর্তমান আপত্তিকর জাদুকরী ওষুধের বিজ্ঞাপন বিষয়ক আইন বা ‘ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিস (অবজেকশনেবল অ্যাডভারটাইজমেন্ট) অ্যাক্টে' বদল আনতেই এই প্রস্তাব৷

রং ফর্সা করতে পারে এমন দাবি করা ফেয়ারনেস ক্রিম বা যৌনক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধের বিজ্ঞাপন নতুন আইনের আওতায় থাকবে৷

এমন পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রথমবার ধরা পড়লে ১০ লাখ রুপি জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ডের কথা বলা রয়েছে৷ দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে সেই শাস্তি হবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত মূল্যের জরিমানা৷

অবৈজ্ঞানিক পণ্যের বিজ্ঞাপনে বাধা

শুধু ফেয়ারনেস ক্রিমই নয়, নতুন আইন প্রণয়ন হলে এর আওতায় আসবে উচ্চতা বাড়ানো, চুল পড়া আটকানো, চুল পাকা আটকানো, যৌন ক্ষমতা বাড়ানো ও ওজন কমাতে পারার দাবি করা পণ্যের বিজ্ঞাপনও৷

এইসব পণ্যকে বিজ্ঞাপনের পরিভাষায় বলা হয় ‘ম্যাজিক রেমেডিস' বা জাদুকরী সমাধান৷ কোনো ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা জরিপ ছাড়াই এমন দাবির ভিত্তিতে পণ্যের বিজ্ঞাপন ও খোলা বাজারে বিক্রি ভারতের আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ৷

বর্তমানে, এই আইনের আওতায় রাখা হয়েছে নানা রকমের কবচ, মাদুলি ও মন্ত্র পড়া পণ্যের বিজ্ঞাপন৷ কিন্তু, ‘পরিবর্তিত সময় ও বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে মাথায় রেখেই' এই নতুন আইনের প্রস্তাব, জানাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়৷

খসড়া আইনের প্রস্তাবে রয়েছে এমন ৭৮টি রোগ বা শারীরিক অবস্থার উল্লেখ, যার ‘সমাধান' হিসাবে বাজারে চালু রয়েছে বেশ কিছু জাদুকরী সমাধান পণ্য৷

ভারতে ফেয়ারনেস ক্রিমই বাজারে কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে৷ এমন পরিস্থিতিতে এই আইনের প্রভাব কেমন হবে, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ও সোশাল মিডিয়ায় চলছে নানা আলোচনা৷

এসএস/কেএম (সূত্র: ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়)