1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রাঙ্কফুর্টের ডিজিটাল বইমেলা কতটা জমবে?

১৫ অক্টোবর ২০২০

শুরু হয়েছে এ বছরের ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা৷ করোনাকালে নতুন আঙ্গিকে বইমেলা এবং মেলায় রাজনীতি নিয়ে আলোচনা কেন গুরুত্বপূর্ণ এসব বিষয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন মেলার প্রেসিডেন্ট ইয়ুর্গেন বুস৷

https://p.dw.com/p/3jxQ6
Frankfurter Buchmesse 2019 | Jürgen Boos
ছবি: Michael Debets/picture-alliance/Pacific Press

ডয়চে ভেলে: করোনার এই সংকটময় মুহূর্তেও আপনি মেলার আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন৷ আমরা জানতাম মেলা বাতিল হয়েছে৷ কিন্তু ১৪ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর ডিজিটাল মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আপনি৷ মেলাটা তাহলে কী ধরনের হচ্ছে?

ইয়ুর্গেন বুস: ফ্রাঙ্কফুর্টের ফেস্টহালেতে মেলাটা হওয়ার কথা ছিল৷ এছাড়া শহরজুড়ে নানা আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল মেলাকে ঘিরে৷ কিন্তু প্রদর্শনী হল থাকবে ফাঁকা৷ এ কারণেই ডিজিটাল মেলা করার ভাবনা মাথায় এলো৷ যারা বইয়ের কপিরাইট বিক্রি করবেন, তারা এখানে সব সুবিধাই পাবেন৷ মেলার প্রধান ফোকাসে থাকবেন গ্রন্থকার এবং তাদের বই৷ ফ্রাঙ্কফুর্ট ফেস্টহালের ভার্চুয়াল সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে সারাবিশ্বের গ্রন্থকার ও বইয়ের স্বত্ত্বাধিকারীরা এক্ষেত্রে সব তথ্য পাবেন৷

ডিজিটাল বইমেলা কি আগের বইমেলার মতোই হবে?

আমার মনে এ নিয়ে সন্দেহ নেই৷ এটা অনেকটাই একইরকম৷ আমরা ডিজিটাল সবধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেছি৷ লেখকের সঙ্গে পাঠকরা কীভাবে যোগাযোগ করতে পারবে তা-ও ঠিক করা হয়েছে৷ আর আগামী বছর আশা করি আমরা আগের মতো মেলা আয়োজন করতে পারবো৷ কেননা, সামনাসামনি লেখক, পাঠক, কপিরাইট বিক্রেতার যে যোগাযোগ এই মেলায় হয়, তার বিকল্প নেই৷

গত বছর রেকর্ড সাড়ে সাত হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল মেলায়৷ এ বছর প্রকাশকরা কিভাবে নতুন প্রকাশনা নিয়ে হাজির হবেন?

গত বছর আসলেই অনন্য ছিল৷ এর আগে কখনো এত প্রকাশক ও পাঠক- দর্শক মেলায় আসেননি৷ আমরা এখনই বলতে পারছি না এ বছর কী হবে৷ কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই কিন্তু অনেক কিছু আমরা ডিজিটালি করতে শুরু করেছি৷ আমরা গ্রন্থকারের অধিকারের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি৷ এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রকাশকরা যাতে বিশ্বব্যাপী নিজেদের প্রকাশনা নিয়ে হাজির হতে পারেন, সে সুযোগ সৃষ্টি করেছি৷ টেলিভিশন, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এ কাজে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ করে কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে৷

এই মেলা মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে অন্যতম প্ল্যাটফর্ম৷ এখানে এসব বিষয়ে প্রচুর আলোচনার সুযোগ থাকে৷ এ বছরের আয়োজনে এর বিকল্প ব্যবস্থা কীভাবে করছেন?

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা হয়েছে যার নাম ‘ডেয়ার ভেল্টেমফাং' বা ‘ওয়ার্ল্ড রিসেপশন'৷ এই অনুষ্ঠানে রাজনীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হবে বলে আশা করছি৷ রাজনীতি বিষয়ক লেখক ডাভিড গ্রোসমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এখানে আলোচনার জন্য৷ ইসরায়েলে অবস্থানের কারণে তিনি সশরীরে এখানে আসতে পারছেন না, ফলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাকে আমরা আলোচনায় যুক্ত করবো৷

মেলার দিনে জার্মান বুক প্রাইজ দেয়া হয়, এটাও নিশ্চয়ই ডিজিটাল হবে৷ এই পুরস্কারের কি ভূমিকা রয়েছে প্রকাশনা শিল্পে?

বইয়ের ক্ষেত্রে এবং গল্প বলার ক্ষেত্রে পুরস্কার বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক ও প্রকাশনার পরিচিতি বাড়ে, ভালো লিখতে লেখককে উদ্বুদ্ধ করে৷ এ বছর জার্মান বুক প্রাইজ এবং দ্য পিস প্রাইজ মেলার শেষ দিনে সেন্ট পলস গির্জা থেকে ঘোষণা করা হবে৷ এছাড়া অন্যান্য পুরস্কারগুলো দেয়া হবে পরের সপ্তাহে৷

সাবিনে কিসেলবাখ/এপিবি