1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিনব এক বাড়ির কথা

১৪ অক্টোবর ২০১৬

শহরের ব্যস্ততা, কোলাহল থেকে পালিয়ে যেতে কার না মন চায়৷ এক ফরাসি স্থপতি দম্পতি এক দ্বীপের মধ্যে নিজেদের জন্য এমনই এক শান্তির নীড় সৃষ্টি করেছেন৷ অভিনব স্থাপত্যশৈলির ফলে বাড়িটি নজর কাড়ার মতো৷

https://p.dw.com/p/2RD6F
Euromaxx Ambiente Inselhaus Bretagne
ছবি: DW

ফ্রান্সে শান্তির দ্বীপ

ফ্রান্সের পশ্চিম উপকূল থেকে নৌকায় মাত্র ৪৫ মিনিট গেলেই অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে অপরূপ এক দ্বীপ চোখে পড়বে৷ নাম ‘বেল ইল অঁ ম্যার' – অর্থাৎ সমুদ্রের মাঝে সুন্দর দ্বীপ৷

এই দ্বীপে বাড়ি নির্মাণের কড়া নিয়ম রয়েছে৷ তথাকথিত নিও-ব্রেটোনিয়ান রীতিতে এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে৷ ভারি গ্র্যানাইট পাথরের প্রাচীরের ভেতর এক প্রাকৃতিক বাতাস চলাচলের প্রণালী লুকিয়ে রয়েছে৷ স্থপতি ব্রুনো দ্যক্রে-র মাথায় এই আইডিয়া এসেছিল৷

Euromaxx Ambiente Inselhaus Bretagne
ছবি: DW

দ্বীপের মধ্যে নিজের এই অভিনব বাড়িতে স্বাগত জানালেন দ্যক্রে৷ সংক্ষিপ্ত পরিচয়ও দিলেন৷ বললেন, ‘‘আমরা বসার ঘরে এসেছি৷ এটিই বাড়ির সবচেয়ে বড় ঘর৷ ইচ্ছা করেই ঘরটি সাদামাটা ও বাহুল্যবর্জিত করে সাজানো হয়েছে৷ পুরোটাই সাদা৷ দেখলে মনে হয় তুলোর মতো, যেন কোনো সীমানা নেই৷ তুলোর মতো বসার ঘরের বিপরীত মেরু হিসেবে শক্ত পাথরের প্রাচীর রয়েছে, যদিও চট করে সে ভাবে চেনা যায় না৷ সেটি আয়নার মতো নিসর্গ তুলে ধরে৷''

ব্রুনো দ্যক্রে স্ত্রী আনিয়েস-এর সঙ্গে দোতলা বাড়িটি ডিজাইন করেছেন৷ আকার-আয়তনে ১২০ বর্গ মিটার৷ প্যারিসে এই স্থপতি দম্পতির সদর দপ্তর রয়েছে৷ দ্বীপের বাড়িটি ছুটি কাটানোর জন্য তৈরি করেছেন তাঁরা৷ ব্রুনো বলেন, ‘‘এটা রান্নাঘর, যদিও সংজ্ঞা অনুযায়ী ঘরটা মোটেই সে রকম নয়৷ কারণ এটি বসার ঘরেরই অংশ৷ অর্থাৎ এখানেই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা, সবাই এখানে কিছু না কিছু করছে৷ রান্নাঘরটি পুরোপুরি উন্মুক্ত এবং চোখে পড়ার মতো নয়৷''

রান্নাঘর থেকে কয়েক পা এগোলেই সিঁড়ি৷ উঠে গেলে শোবার ঘরে পৌঁছানো যায়৷ ব্রুনো দ্যক্রে বলেন, ‘‘এটা হলো শোবার ঘর, যার কনসেপ্ট বসার ঘরের মতো৷ এখানেও সাদা রং, সাদামাটা জিনিসপত্র৷ বাড়ি নির্মাণের সব রকম বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও আমরা বড় ঘর সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছি৷''

দ্বীপের জলবায়ু তুলনামূলকভাবে উষ্ণ৷ ফলে বাড়ির পরিবেশও বেশ মনোরম৷ দোতলায় কাজের ঘর৷ ব্রুনো সেখানে বসেই বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করেন৷ বাড়ির বাঁকানো ছাদ ভেদ করে আলো ঢুকতে পারে বলে বেশ খোলামেলা উষ্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷

দ্যক্রে পরিবারের ছুটি কাটানো বাড়ি থেকে অ্যাটলান্টিক উপকূলের দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম৷ এমন শান্ত পরিবেশে হাঁটার মজাই আলাদা৷ প্যারিস শহরের ব্যস্ততা ও হই-হট্টগোল থেকে পালানোর আদর্শ জায়গা৷ বাড়ির পেছনে রয়েছে প্রায় ২০০ বর্গমিটার বড় বাগান৷ ব্রুনো দ্যক্রে বলেন, ‘‘এই বাগান দু'ভাগে বিভক্ত৷ এখানে গাছপালা ছাড়াও জলপাই গাছের কাছে অনেক পাথর রয়েছে৷ প্রতি বছর গাছে অনেক ফল হয়৷ আমাদের আশা, শীঘ্রই অলিভ অয়েল তৈরি করতে পারবো৷''

বাড়ি ও বাগান দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন মালিক৷ ‘বেল ইল অঁ ম্যার' ফ্রান্সের মধ্যে এক স্বর্গরাজ্যের মতো৷

প্রতিবেদন: মেগিন লেই/এসবি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান