1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে গির্জায় হামলাকারী তিউনিশিয়ার

৩০ অক্টোবর ২০২০

ফ্রান্সের গির্জায় হানা দিয়ে তিনজনকে যে হত্যা করেছে, সে সম্প্রতি তিউনিশিয়া থেকে এসেছিল।

https://p.dw.com/p/3kd48
ছবি: Daniel Cole/AP/picture alliance

বয়স ২১ বছর। সঙ্গে ছিল ইটালির রেড ক্রসের নথিপত্র। মাস খানেক আগেই ইটালির একটি দ্বীপে পৌঁছয় তিউনিশিয়ার যুবক। ১৪ দিন কোয়ারান্টিনে থাকার পর তাঁকে ইটালি ছেড়ে যেতে বলা হয়। সেখান থেকেই তিউনিশিয়ার যুবক ফ্রান্সে আসে অক্টোবরে। এই যুবকই নিস শহরে গির্জায় ঢুকে তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তার পকেট থেকে একটি কোরান, দুইটি সেলফোন ও একটি ১২ ইঞ্চির ছুরি পাওয়া গেছে বলে ফ্রান্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আরো আক্রমণের চেষ্টা?

দক্ষিণ ফ্রান্সের শহর এভিনিওঁ-তে এক যুবক হ্যান্ডগান নিয়ে ঘুরছিল। পুলিশ তাকে গুলি করে মেরেছে।

নিসের গির্জায় তিনজনের হত্যার পরই লিওঁ শহরে এক আফগান বড় ছুরি নিয়ে ট্রামে উঠতে যাচ্ছিল। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

সৌদি আরবের সরকারি টিভি জানিয়েছে, ফরাসি কনসুলেটের গার্ডকে আক্রমণ করেছিল এক ব্যক্তি। গার্ড আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তবে তাঁর জীবনের ঝুঁকি নেই। আক্রমণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মাক্রোঁর নিন্দা

গির্জায় আক্রমণের ঘটনাকে আরেকটি 'মুসলিম জঙ্গি হানা' বলে অভিহিত করেছেন মাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, চার্চ, স্কুলের মতো জায়গাগুলিকে রক্ষা করার জন্য সেনার সংখ্যা তিন হাজার থেকে বাড়িয়ে সাত হাজার করা হয়েছে। আক্রমণের তদন্ত শুরু হয়েছে।

মাক্রোঁবলেছেন, ''আমরা যদি আবার আক্রান্ত হই তাহলে বুঝতে হবে আমাদের মূল্যবোধের উপর আঘাত হানা হচ্ছে। এই মূল্যবোধগুলিই আমাদের স্বাধীনতা। আমরা মুক্ত চিন্তার পক্ষে। কোনো জঙ্গি হানার কাছে আমরা মাথা নত করব না। আমি আবার জানাতে চাই, আমরা কোনো কিছুর কাছে আত্মসমর্পণ করব না।''

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)