ফ্র্যাংক গ্যারির দারুণ কিছু স্থাপত্য

গ্যারির পরিকল্পনায় নির্মিত এই ভবনটির কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে মাত্র চার বছর৷ ১৯৯৭ সালে উদ্বোধন হওয়া সুদৃশ্য এই আর্ট মিউজিয়ামটি এখন পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি দর্শকের মন কেড়েছে৷ শিল্পপ্রেমী ছাড়াও সাধারণ পর্যটকরা মনোরম এই স্থাপত্যটি দেখতে যান৷

চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানীতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ এই অফিস ভবনটি৷ ক্রোয়েশিয়ার স্থপতি ভ্লাদো মিলুনিচের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই ভবনের নকশা করেন গ্যারি৷

দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির ছোট্ট শহর ভাইল আম রাইনে অবস্থিত এই ভবনটি সুইজারল্যান্ডের আসবাবপত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ভিটরার জার্মান সদরদপ্তর৷ এর পরিকল্পনা করেছেন গ্যারি৷

‘রাইনহাফেন সেন্টার অফ আর্টস অ্যান্ড দ্য মিডিয়া’র তিনটি ভবন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে৷ একটু আঁকাবাঁকাভাবে তৈরি করা বিল্ডিংগুলোতে কয়েক রকমের উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে৷

এটি ছিল ল্যাটিন অ্যামেরিকায় গ্যারির প্রথম প্রকল্প৷ জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত পানামায় এমন একটি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করতে তাই গ্যারি কয়েকটি রং ব্যবহার করেছেন৷ সঙ্গে ছাদ আর ভবনের বাইরের অংশেও রেখেছেন বিচিত্রতার ছাপ৷

ফ্রান্সের বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড লুই ভুইতঁ তাদের ফাউন্ডেশনের নকশার জন্য গ্যারিকে দায়িত্ব দেন৷ কাঠ, ইস্পাত আর কাচ দিয়ে তৈরি এই ভবনে একটি মিউজিয়াম ছাড়াও আছে সমকালীন শিল্পকলার কিছু সংগ্রহ৷

গ্যারিকে যখন এই কনসার্ট হলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, তখন তার সামর্থ্য নিয়ে অনেকেই আশংকা প্রকাশ করেছিলেন৷ তবে এখন এটি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কনসার্ট হলে পরিণত হয়েছে৷ স্থাপত্যের দিক দিয়ে যেমন, তেমনি এই হলের অ্যাকুস্টিকস বা শ্রুতিগুণও প্রশংসিত হয়েছে৷

গ্যারির মতো একজন স্থপতি সাধারণ বাড়িতে থাকবেন, তা তো হয় না৷ তাই ১৯৭৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মোনিকায় এই বাড়িটি কেনার পর কয়েকবার তার নকশা পরিবর্তন করেছেন৷ গ্যারি নিজে তাঁর এই বাড়ির নাম দিয়েছেন ‘আইডিয়াস ল্যাবরেটরি’৷

৯০ বছর বয়সি গ্যারি আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাওয়া শুরু করেন ১৯৮৯ সালে৷ তবে গ্যারি মনে করেন, সময়টা ঠিকই আছে, কারণ, ‘‘পঞ্চাশ বা ষাটেই একজন স্থপতি অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে৷’’