‘বইমেলা' নিয়ে পাঠকদের ভাবনা | পাঠক ভাবনা | DW | 01.02.2017
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

মতামত

‘বইমেলা' নিয়ে পাঠকদের ভাবনা

আমাদের ‘আলাপ'-এর পাতায় এবারের বিষয় বাঙালির প্রাণের মেলা ‘বইমেলা'৷ বই নিয়ে নিজেদের আবেগ আর উচ্ছ্বাসের কথা ছাড়াও, বইমেলায় ধর্মের বিরুদ্ধে লেখা বই প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন কিছু পাঠক৷

পাঠক খালেদ লিখেছেন, ‘‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও বইমেলা হচ্ছে৷ কিন্তু হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে লেখা কোনো বই প্রকাশ করুক তো তারা দেখি পারে কিনা৷ তাহলে বাংলাদেশে কেন ইসলামের বিরুদ্ধে বই প্রকাশ করা হবে? ইউরোপ-অ্যামেরিকায় খ্রিষ্টান ধর্মের বিরুদ্ধে বই প্রকাশের কথাও তো কখনও শুনিনি৷''

‘‘লেখার স্বাধীনতার কারণে কিছু মাথা মোটা লোক ধর্মকে অবমাননা করবে...৷ সেটা তো কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না'' – এ মন্তব্য সাগর তালুকদারের৷

পাঠক সম্রাটের প্রশ্ন, ‘‘জার্মানি বা ইংল্যান্ডে কি কেউ যিশুকে নিয়ে উল্টা-পাল্টা কিছু লেখে বা লিখতে পারে?''

পাঠক জোবায়ের হোসেন মনে করেন, ‘‘কিছু লেখক আছেন যাঁরা ধর্মের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আবোল-তাবোল বলেন৷'' শুধু তাই নয়, যেসব বই সমাজকে কিছু দিতে পারে না, সেগুলো বন্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি৷

পাঠকদের এখানে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, পশ্চিমা বিশ্বে কিন্তু ধর্মকে কটাক্ষ করে, ব্যঙ্গ করে, সমালোচনা করে বহু সাহিত্য লেখা হয়েছে, এখনও হচ্ছে

অন্যদিকে ‘‘বইমেলায় যাওয়ার আনন্দটাই আলাদা'' – বেশ উচ্ছ্বাসের সাথেই এ কথা লিখেছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুকবন্ধু সালেক মোহাম্মদ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বইমেলার পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণের জন্য এখনও কিছু কাজ বাকি আছে৷'' তাঁর মতে,‘‘এই মেলায় পৃথিবীর সব প্রান্তের বাংলা বইয়ের প্রকাশকদের যেদিন অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে, সেদিন থেকে অমর একুশে বইমেলা হবে সত্যিকারের বইমেলা৷''

ডয়চে ভেলের ফেসবুকবন্ধু সালেক মোহাম্মদ অবশ্য মনে করেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সময় একাডেমির অনেক উন্নয়ন হয়েছে৷ তবে তাঁর কথায়, ‘‘জনাব খানের সময় অনুবাদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আমার চোখে পড়েনি৷ মরহুম সৈয়দ আলী আহসান স্যারদের সময়কে অনুবাদের স্বর্ণযুগ বলা হতো৷ তাই শামসুজ্জামান খানকে অনুবাদ সাহিত্যে দৃষ্টি দেবার অনুরোধ করছি৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

 

নির্বাচিত প্রতিবেদন