1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বদভ্যাস ছাড়াতে ‘ট্রাবলমেকার’

২১ মে ২০১৮

আমাদের সবারই কিছু না কিছু বদভ্যাস রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে আমরা সবসময় সচেতন নই৷ কিন্তু সহজ-সরল পথে যদি সেই বদভ্যাস তাড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে ক্ষতি কী! জার্মানির এক বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক সেই পথই বাতলে দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2y3Fd
ছবি: picture-alliance/beyond/G. Clarke

পরীক্ষামূলকভাবে যাঁরা টেলিভিশন দেখছেন, নতুন এক উদ্ভাবন সম্পর্কে তাঁদের রায় দিতে হবে৷ যেমন কোন বিষয় বিরক্তিকর ও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে – এমনটা সহজে বর্ণনা করা কঠিন৷ তবে এটা ঠিক যে, পুরো অভিজ্ঞতার মধ্যে যেন একটা ভুতুড়ে ছায়া রয়েছে৷ কিছুটা বিরক্তিকরও বটে৷

জার্মানির সিগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকরা তথাকথিত ‘ট্রাবলমেকার’ নামের এই প্রযুক্তি সৃষ্টি করেছেন৷ এর কাজ হলো দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বদভ্যাস ছাড়ানো৷ গবেষকরা এগুলিকে ট্রেনিং যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেন৷ যেমন, এই যন্ত্রটির মাধ্যমে লিফট চড়া বন্ধ করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে শেখানো হয়৷ বলা হয়, নিজেকে ফিট রাখতে কিছু করো৷ ৪ তলায় ছেড়ে দিচ্ছি৷ তারপর সিঁড়ি বেয়ে বাকি একতলায় যাও৷ ৩ তলা পর্যন্ত লিফটে উঠে, হেঁটে আরেক তলা ওঠার আইডিয়া আর নতুন কী!

ড. মাটিয়াস লাশকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই চোখে যেন ঠুলি পরা থাকে৷ আমরা অভ্যাসের দাস হয়ে থাকি৷’’

এইসব আইডিয়া আমাদের সেই দশা থেকে মুক্তি দেবে, এমনটাই আশা৷ এই ওয়ার্কশপে সেগুলি পরখ করে দেখে কাজে লাগানো হয়৷ কিন্তু নিজের আচরণ আদর্শ করে তোলার জন্য কত প্রযুক্তিই না রয়েছে! যেমন দামী ঘড়ি আমাদের পদক্ষেপ মনিটর করে৷ প্রফেসর মার্ক হাসেনসাল বলেন, ‘‘তার বদলে আমরা এমন কিছু করার চেষ্টা করছি, যা মানুষকে নতুন পরিস্থিতিতে ফেলবে, নতুন সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করবে৷ নিজেকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যে বস্তুটিকে অদ্ভুত এক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা প্রায়ই খুব সহজ হতে পারে৷’’

‘ট্রাবলমেকার’ ক্ষণিকের জন্য আমাদের রুটিন ভেঙে দেবে৷ সেই মুহূর্তকে বলা হয় ‘কি মোমেন্ট’৷ ড. মাটিয়াস লাশকে বলেন, ‘‘ব্যাপারটা এভাবে চলে৷ একদিকে আমি গাড়ির চাবি ঝুলিয়ে দিতে পারি, কারণ, মাঝে মাঝে তো গাড়ি চড়তেই হয়৷ কিন্তু সাইকেলের চাবিও ঝোলানো সম্ভব৷ গাড়িতে উঠতে গেলে ‘কি মোমেন্ট’ একটা প্রস্তাব দেবে৷ সাইকেলের চাবি পড়ে যাবে৷ তখন বাধ্য হয়ে ভাবতে হবে, গাড়ি চালানোই কি সঠিক সিদ্ধান্ত?’’

দৈনন্দিন জীবন থেকেই আরও আইডিয়া পাওয়া সম্ভব৷ যেমন, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য একটি আইডিয়া রয়েছে৷ ড. মাটিয়াস লাশকে বলেন, ‘‘টিভির শব্দ নিজেরাই চালু অথবা বন্ধ করো ৷ কাজ হয়ে গেলে তোমরা টিভি আবার বন্ধ করে দিলে ভালো হয়৷ সবসময় টিভি চালু রাখার প্রয়োজন নেই৷ তারপর বেরিয়ে এসো৷’’

স্বেচ্ছাসেবীরা জানেন না, টিভি দেখার আরামদায়ক সময় শেষ হলেই ‘ট্রাবলমেকার’ জেগে উঠবে৷ ড. লাশকে বলেন, ‘‘টিভি স্ট্যান্ডবাই মোডে রেখে অযথা বিদ্যুৎ খরচ করা যন্ত্রটি একেবারেই পছন্দ করে না৷ তখন সে খুবই অস্থির হয়ে পড়ে৷’’

এখনো পর্যন্ত কেউ সেটিকে হাতে তুলে নেয়নি৷ বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী এই শুঁয়োপোকা নিয়ে প্রতিক্রিয়া কীরকম? প্লাগ খুলে নেওয়া অথবা টেলিভিশন ঠিকমতো বন্ধ করার কথা ভালো করে মনে করিয়ে দেয়৷

উদ্ভাবনের সত্যি কোনো সীমা নেই৷

নিল্স অটে/এসবি