1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পার্ল হারবারে গুলি

৫ ডিসেম্বর ২০১৯

মার্কিন সমুদ্রঘাঁটি পার্ল হারবারে বন্দুকবাজের হানা৷ চলল এলোপাথাড়ি গুলি৷ ঘটনায় নিহত ২৷ গুরুতর আহত এক৷ মৃত্যু হয়েছে বন্দুকবাজেরও৷ তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি মার্কিন নৌসেনা৷

https://p.dw.com/p/3UFYp
ছবি: picture-alliance/AP Photo/C. Jones

৭ ডিসেম্বর, ১৯৪১৷  জাপানের আচমকা বোমারু হামলায় কেঁপে উঠেছিল অ্যামেরিকার সমুদ্র বন্দর এবং সামরিক নৌঘাঁটি পার্ল হারবার৷ যার জেরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সরাসরি যোগ দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ সেই ঘটনার ৭৮ বছর পূর্তির মাত্র ২ দিন আগে ফের খবরের শিরোনামে মার্কিন সামুদ্রিক বন্দর৷ এবার আচমকাই চলল গুলি৷ এখনও পর্যন্ত নিহত দুই৷ আহত ১৷

USA Militärbasis Pearl Harbor-Hickam
ছবি: AFP/K. Nishimura

প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, মার্কিন সময় বুধবার বেলা আড়াইটে নাগাদ হঠাৎই এক বন্দুকবাজ গুলি চালাতে শুরু করে পার্ল হারবারের ড্রাই ডক দুইয়ে৷ যেখানে সাবমেরিনের রক্ষণাবেক্ষণ হয়৷ গুলিতে আহত হন তিনজন৷ পরে দু'জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই৷ সংকটজনক অবস্থায় একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে৷

ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পরে মার্কিন নৌসেনা ঘটনার কথা স্বীকার করে একটি টুইট করে৷ সেখানে জানানো হয়, বন্দুকবাজকে আটকানো সম্ভব হয়েছে৷ পরে অবশ্য জানা যায় যে, এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর পর ওই বন্দুকবাজ আত্মহত্যা করে৷

সূত্রের খবর, নিহত এবং আহত তিন ব্যক্তিই বন্দর কর্মী৷ বন্দুকবাজও এক নাবিক৷ তবে কারও পরিচয়ই নৌসেনার তরফ থেকে জানানো হয়নি৷ জানা যায়নি, কী ভাবে ওই এলাকায় বন্দুক সহ পৌঁছে গেল বন্দুকবাজ৷ কী তার উদ্দেশ্য ছিল৷ ঘটনার পর পরই সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় গোটা বন্দর এলাকা৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে ফের তা খোলা হয়৷ পার্শ্ববর্তী হনুলুলু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও এখন বিমান চলাচল স্বাভাবিক৷

USA Schüsse auf Militärstützpunkt Pearl Harbor-Hickam
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Jones

অ্যামেরিকার সামরিক বন্দর হিসেবে পার্ল হারবারের গুরুত্ব অপরিসীম৷ এক সময় মনে করা হত, প্রাকৃতিক ভাবে এই বন্দর এমন এক অবস্থানে রয়েছে যে, শত্রুপক্ষ কখনওই সেখানে আক্রমণ চালাতে পারবে না৷ কিন্তু ১৯৪১ সালে জাপান সেই মিথ ভেঙে দেয়৷ পার্ল হারবার ধ্বংস হয়ে যায় একের পর এক বোমারু বিমান হানায়৷ নিহত হন ২,৪০৩ জন নৌসেনা৷ এরপরেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সরাসরি যোগ দেয় অ্যামেরিকা৷ আগামী ৭ ডিসেম্বর সেই ঘটনার ৭৮ বছর পূর্তি৷ তার ঠিক আগে বন্দুকবাজের হামলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়৷ ইতিমধ্যেই মার্কিন নৌসেনা এবং বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷