1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আটকে পড়া বাংলাদেশিদের খবরের জন্য ধন্যবাদ

২০ অক্টোবর ২০২০

‘‘বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশ করে তাদের সহায়তা করে দেয়ার জন্য ডয়চে ভেলেকে অসংখ্য ধন্যবাদ,’’ এক পাঠকের মন্তব্য৷ বসনিয়া থেকে করা লাইভগুলো ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন ফেসবুক পাতায় অনেক পাঠক৷

https://p.dw.com/p/3kAF6
ছবি: Anupam Deb Kanunjna/DW

‘‘ডয়চে ভেলের থেকে প্রচারের কারণে বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সাহায্যের কথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের আইওএম-এর নজর পড়েছে, ধন্যবাদ৷’’ মন্তব্য রাসেল খানের৷

ডিডাব্লিউ বাংলাকে ধন্যবাদ যুগান্তকারী পদক্ষেপের জন্য, মন্তব্য পাঠক আলম সাঈদের৷ বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের খবরটি ডয়চে ভেলে প্রকাশ না করলে বাংলাদেশিরা না খেয়েই মারা যেতো বলে মনে করেন পাঠক শুব্রত নিল ভদ্র৷ লাইভ ভিডিওগুলো দেখানোর জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ফেসবুক বন্ধু খায়রুল হক৷ ডয়চে ভেলের প্রশংসা করে খায়রুল হাসান শুভ লিখেছেন, মানুষের কল্যাণে আসবে এমন সাংবাদিকতারই দরকার৷

তবে পাঠক রাকিব হাসান রফি ডয়চে ভেলের কাছে এরকম অনুসন্ধানমূলক আরো রিপোর্ট প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘বসনিয়ার এ ঘটনাটি রয়টার্সসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে বলে আমরা তাঁদেরকে নিয়ে আলোচনা করছি কিন্তু বসনিয়া ছাড়াও অন্যান্য বলকান রাষ্ট্রগুলোতে একইভাবে অনেক বাংলাদেশি এভাবে আটকা পড়ে থাকতে পারেন যারা ইতালি কিংবা ফ্রান্স অথবা স্পেনে ঢোকার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন৷ কয়েক মাস আগেও মেসিডোনিয়াতে একটি লরী থেকে ১৪৪ জনের মতো আটক করা হয়৷ যারা একই উদ্দেশ্য নিয়ে ইউরোপের পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন৷ এ বিষয়গুলো নিয়ে আরও অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন৷’’

আর বসনিয়ায় বাংলাদেশিদের অসহায়ত্ব দেখে নাজাত আহমেদ চৌধুরীর জানতে চেয়েছেন, বসনিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে কিনা৷

বসনিয়ায় জঙ্গলে বাংলাদেশিদের কষ্ট দেখে পাঠক বিথী আক্তার তার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘আমরা পৃথিবীর একমাত্র দেশ যারা শরনার্থীদের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করে বিল্ডিং করে এবং সেই সাথে উন্নত জীবন যাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব করছি৷ আর আমাদের দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধারা কত বিপদে আছে৷’’ গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশ করে বাংলাদেশিদের সহায়তা দেওয়ার জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন পাঠক আহমেদ রুহিন৷

আর জাকারিয়া আহমেদের মন্তব্য, মানবতা এখনও বেচে আছে শুধু চোখ খুলে দেখতে হয়, ধন্যবাদ ডয়চে ভেলে বাংলাকে৷ বাংলাদেশিদের দুঃখ বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম,খুরশীদ খান, শামসুর রহমান, ওমর ফারুকসহ অনেকে৷

ফেসবুক পাতায় শামীম আশরাফ তন্ময় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছেন, আপনাদের এই কাজের মাধ্যমে ‘‘আমরা সবাই পরিবর্তন আনতে পারি,’’ এই কথাটাই যেনো পূর্ণতা পেয়েছে৷

পাঠক মোহাম্মদ রহমান এবং মিজানুর রহমান জানিয়েছেন তারা সর্বক্ষণই ডয়চে ভেলের লাইভে যুক্ত ছিলেন এবং মানবিক কাজ করার জন্য ডয়চে ভেলের সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন৷ ডয়চে ভেলে বাংলার সংবাদকর্মীদের প্রতি আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পাঠক আবুল বাশার খান৷

‘‘দেশি-বিদেশি মিডিয়ার মধ্যে ডয়চে ভেলেই সম্ভবত প্রথম, যারা কিনা সরাসরি স্পটে গিয়ে লাইভ করেছে! কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি পৃথিবীর কোন এক জঙ্গলে আটকে আছে, সুতরাং আমাদের সেখানে যেতে হবে- এ মেন্টালিটি আমাদের তথাকথিত গণমাধ্যম নামের দেশীয় একটিভিস্ট মিডিয়ার নেই! এজন্যে দু'দিন ধরে ডয়েচে ভেলের প্রতি ফিদা হয়ে আছি৷’’ এই মন্তব্য মিলাদ আহমেদের৷

তবে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদটি পাঠকদের কাছে তুলে ধরাতে গিয়ে সাংবাদিকদের অক্লান্ত পরিশ্রম করায় বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিয়েছেন পাঠক মামুন রনবীর৷ আর হেলাল ফকির মনে করেন ডয়চে ভেলে খবরটি প্রচার করার কারণেই বিষয়টি দাতাদের নজরে এসেছে৷

পাঠকদের কেউ কেউ এ বিষয়ে সমালোচনাও করেছেন৷ যেমন পাঠক টিপু সুলতান মনে করেন নিজের দেশকে ছোট করে এভাবে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়া উচিত নয়৷

বাংলাদেশিদের এভাবে পালিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন পাঠক মিজানুর রহমান সৈকত৷ পালিয়ে যেতে এক একজনের ১৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে আর এই টাকা দিয়ে দেশে অনায়াসে অনেক কিছুই করা যায় বলে মনে করেন তিনি৷ আর অন্যদেশে এভাবে পালিয়ে যাওয়া পাঠক জুয়েলের কাছে অপরাধ৷

‘‘কেউ মরে সাগরে, কেউ মরে জঙ্গলে! জীবন আগে না সম্পদ আগে৷ এই রকম ঝুঁকি নিয়ে আমি কখনো যাবো না৷এটা সুইসাইডের সামিল৷ আর যারা তাদেরকে যেতে পরামর্শ দেয়, এরা দালাল,এদের কঠোর শাস্তি চাই৷’’ বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সম্পর্কে পাঠক লাবু মিয়া এভাবেই তার মতামত জানিয়েছেন৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন