‘বসার অধিকার’ পেলেন তামিলনাড়ুর দোকান কর্মীরা
১০ অক্টোবর ২০২১২০১৮ সালে কেরালা রাজ্যে প্রথম এমন আইন করা হয়৷ সেই সময় কাপড়ের দোকানে কাজ করা বিক্রয় কর্মীরা ‘বসার অধিকারের' জন্য বিক্ষোভ করেছিলেন৷
এবার ভারতের দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে তামিলনাড়ুতে এমন আইন পাস হলো৷
তামিলনাড়ুর এক কাপড়ের দোকানে প্রায় এক দশক ধরে কাজ করছেন ৪০ বছর বয়সি লক্ষ্মী৷ তিনি জানান, ‘‘এখন পর্যন্ত আমরা দুপুরের খাবারের জন্য যে ২০ মিনিটের বিরতি শুধু সেই সময়টা বসতে পারতাম৷ আর বাকি সময় কষ্ট কমাতে মাঝেমধ্যে কিছুক্ষণের জন্য কাপড় রাখা তাকের সঙ্গে হেলান দিতাম৷ কোনো ক্রেতা না থাকলেও মেঝেতে বসার অনুমতি ছিল না৷''
তামিলনাড়ুর মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে অলংকার, শাড়ি ও জামাকাপড়ের চেন মার্কেট রয়েছে৷ নারী ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এসব দোকানে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের নিয়োগ দেয়া হয়৷
তামিলনাড়ু রাজ্যে বিল পাস হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কেরালা রাজ্যের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া পি. ভিজি৷ তবে তিনি বলেন, আইন পাসের চেয়ে বাস্তবায়ন কঠিন৷ দোকানে চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা তা নিয়মিত নজরদারির মধ্যে রাখেন ভিজির সংগঠনের কর্মীরা৷ তামিলনাড়ুর সরকারি কর্মকর্তা কিরলোশ কুমার থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছেন, ঐ রাজ্যে আইন মানা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে মাঝেমধ্যে পরিদর্শকেরা দোকান পরিদর্শন করবেন৷
তামিলনাড়ুর নারী শ্রমিক সংগঠনের নেতা এম. ধনলক্ষ্মী বলেন, ১২ কিংবা ১৪ ঘণ্টার শিফটে প্রায় সবসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হলে শিরা ফুলে যাওয়ার মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়৷ তাই এই অনেক আগেই এমন আইন থাকা প্রয়োজন ছিল৷
এদিকে, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা বলছেন, বসার অধিকার পূরণ হলেও আরও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে৷ যেমন সর্বনিম্ন বেতনের চেয়ে কম টাকা দেয়া, সপ্তাহের প্রতিদিন কাজ করতে বাধ্য করা, টয়লেট ব্যবহারে নজরদারি এবং দোকানের ম্যানেজার কর্তৃক সবসময় নজরদারি করার মতো বিষয়গুলো এখনও রয়ে গেছে৷
জেডএইচ/কেএম (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)