1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশি নারী নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত ভারতীয় দম্পতি

১৯ নভেম্বর ২০১৯

তিন বাংলাদেশি নারী পাচার ও নিপীড়নের দায়ে সিঙ্গাপুরে দুই ভারতীয় নাগরিককে সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে৷ নতুন মানবপাচার আইনের আওতায় এটিই প্রথম মামলা৷

https://p.dw.com/p/3TJIZ
সিঙ্গাপুরে তিন বাংলাদেশি নারীকে বিনা বেতনে নাইটক্লাবে নাচতে বাধ্য করা হয়ছবি: Reuters/O. Harris

২০১৫ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে মানবপাচার আইন কার্যকর হয়েছে৷ এরপর প্রথম যে ঘটনাটি সামনে এসেছে, তাতে উঠে এসেছে তিন বাংলাদেশি নারীর কথা৷

মাসিক ৬০ হাজার টাকা বেতনের কথা বলে বাংলাদেশ থেকে তিন নারীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে এসেছিল এক ভারতীয় দম্পতি৷ এরপর তাদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে আটক করে রাখা হয়৷ ভারতীয় দম্পতির একটি নাইটক্লাব রয়েছে সিঙ্গাপুরে, যেখানে প্রতিদিন বিনা পারিশ্রমিকে নাচতে বাধ্য করা হতো এই নারীদের৷ তাদের মধ্যে একজনকে জোর করে দেহ ব্যবসাতেও নামানো হয় বলে অভিযোগ৷

তিন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ আগামী ১৯ ডিসেম্বর ঐ ভারতীয় দম্পতির সাজার মেয়াদ ঘোষণা করা হবে৷ এতে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল ও বেত্রাঘাতের সাজা দেয়া হতে পারে৷

‘‘আইনকে ফাঁকি দেওয়া সহজ নয়’’

মানবপাচার বিরোধী সংগঠনগুলির মত, এই দৃষ্টান্তমূলক সাজার ফলে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ ও মানবপাচারের সাথে জড়িতদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ মানবপাচার বিরোধী সংগঠন হাগার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান মাইকেল চিয়াম সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘‘চাকরিদাতাদের কখনোই ভাবা উচিত নয় যে মানবপাচার ও এমন অপরাধ করে তারা আইনকে ফাঁকি দিতে পারবে৷’’

একই আইনের আওতায় আরো দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন৷

উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে মোট ৫৬ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১০ লাখ বাংলাদেশি, চীনা ও বার্মিজ অভিবাসী শ্রমিক৷

এসএস/জেডএইচ (রয়টার্স)

২০১৫ সালের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য