1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের ক্রীড়াভাষ্যকার খোদা বখ্স মৃধা আর নেই

৩০ মার্চ ২০১০

জনপ্রিয় ক্রীড়াভাষ্যকার খোদা বখ্স মৃধা আর নেই৷ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীতে তিনি মারা গেছেন৷ তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর৷

https://p.dw.com/p/MiRD
খেলার মাঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা৷ছবি: AP

যাঁর কণ্ঠে বহুদিন ধরে রেডিও বা টেলিভিশনে শোনা গেছে ফুটবল কিংবা ক্রিকেটের টান টান উত্তেজনাকর খেলার ধারা বিবরণী, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহর বন্দরের প্রায় সব মানুষই যাঁর গমগমে কণ্ঠের সঙ্গে পরিচিত সেই খোদা বখ্স আর নেই৷ এই খবরে শোকাহত বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন৷

খোদা বখ্স বেশ কিছুদিন ধরেই নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার৷ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়৷ কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান৷

ক্রীড়াভাষ্যকার হিসেবেই বহুল পরিচিত খোদা বখ্স শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত ছিলেন৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর, তিনি রাজশাহী কলেজ এবং রাজশাহী সরকারি নিউ ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতা করেন৷ ২০০৩ সালে তিনি শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন৷ ছাত্রজীবন থেকেই তিনি খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী ছিলেন৷

বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়া ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন খোদা বখ্স৷ মাঠ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত খেলার ধারাভাষ্যসহ নানা অনুষ্ঠানের ধারাভাষ্য এবং উপস্থাপনা করতেন তিনি৷ বাংলাদেশে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেসরকারি রেডিও’র বহুল প্রসারের আগে থেকেই দেশের মানুষ ‘বেতার' এবং ‘বিটিভি’র কল্যাণে যে অল্প ক’জন ধারাভাষ্যকারকে চিনতেন - খোদা বখ্স তাঁদের মধ্যে অন্যতম৷ ক্রীড়াভাষ্যে তাঁর বিশেষ বাচনভঙ্গি আশির দশকের দর্শক-শ্রোতাদের কাছে খেলার মাঠের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছিল৷

মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী কলেজে প্রথম এবং রাজশাহী নগরীর হেতেমখাঁ বড় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে হেতেমখাঁ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে খোদা বখ্স’কে দাফন করা হবে৷ খোদা বখ্স স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন৷

প্রতিবেদক : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক