বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা
১০ মার্চ ২০১০মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটির গবেষণা ও অনুসন্ধান বিভাগের পরিচালক রিচার্ড সলোম বলেন, অরক্ষিত এই জনগোষ্ঠিকে এভাবে অভুক্ত এবং রাষ্ট্র ছাড়া রাখা অযৌক্তিক৷
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, প্রতি পাঁচজন বার্মিজ মুসলিম শিশুর মধ্যে একজন অনিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে৷ আর তারা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে৷ কারণ, সেখানে তারা কোন খাবার ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না৷ এর ফলে ক্ষুধা জনিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে৷
এই গবেষণামূলক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, পাঁচ বছরের বয়সের নিচে ১৮ শতাংশ রোহিঙ্গা শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এবং তাদের ৫৫ শতাংশ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে৷ ফিজিশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস সংগঠনটি এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে করে সার্বিক অবস্থার উন্নত করার আহবান জানিয়েছে৷
একই সঙ্গে এই সংগঠনটি বলছে, স্থানীয় পুলিশ বিভিন্ন সময়ে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের গ্রেফতার করছে৷ পুলিশ এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রেফতার করছে, এক সাথে অনেককে কারাগারে আটক করে রাখছে এবং সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরতে বাধ্য করছে৷ তারা এই ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছে এবং গ্রেফতারের সমালোচনা করছে৷ তবে বার্তা সংস্থা এ এফ পি জানিয়েছে, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বিষয়ে প্রকাশিত এ সংবাদকে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ সরকার৷
মিয়ানমার সিমান্তবর্তী কুতুপালং এলাকার স্থানীয় পুলিশ প্রধান বলেন, তারা বেআইনিভাবে প্রবেশকৃত রোহিঙ্গাদের গ্রেফতার করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাচ্ছেন৷
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী সীমান্ত পার হয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা প্রতি বছর মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে৷ বাংলাদেশে বর্তমানে জাতিসংঘের শরণার্থী শিবিরে ২৮ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে৷ তবে, বাংলাদেশ সরকারের তথ্যানুযায়ী দুই থেকে তিন লাখ রোহিঙ্গা অনিবন্ধিতভাবে বসবাস করছে৷
প্রতিবেদন : আসফারা হক
সম্পাদনা : সাগর সরওয়ার