1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিন: বাংলাদেশকে জার্মানি

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তর৷ নির্ভরযোগ্য ও সত্যনির্ভর তথ্যে জনগণের অধিকারের কথাও উল্লেখ করেছে জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/3pR6G

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় ১ ফেব্রুয়ারি ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার'স মেন' নামে একটি অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র প্রকাশ হয়৷ তথ্যচিত্রে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কর্মকর্তাসহ উচ্চপর্যায়ের কিছু দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়

 

এরপর সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া সংবাদ আকারে ছাপানো হলেও আল জাজিরায় তুলে ধরা দুর্নীতির বিষয়টি অধিকাংশ গণমাধ্যমেই প্রকাশ হয়নি৷

এরপরই বাংলাদেশের গণমাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম নিজেদের সম্পাদকীয়তে এর কারণ হিসেবে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং অন্য বিভিন্ন আইনের কিছু ধারাকে দায়ী করে৷

১০ ফেব্রুয়ারি ডয়চে ভেলের সাংবাদিক টিম সেবাস্টিয়ানের সঞ্চালনায় টক শো ‘কনফ্লিক্ট জোন'-এ অতিথি হিসেবে হাজির হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী৷

সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্বীকার করেন, ‘‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু শব্দচয়ন দুর্বল ও অস্পষ্ট হয়েছে, যার অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে৷''

 

কিন্তু পরদিনই ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের নানা দেশের আইনের আদলেই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে' উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ৷

জিহাদি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার দায়ে ফ্রান্সের বিরোধী রাজনীতিবিদ মারিঁ ল্য পেনকে বিচারের মুখোমুখি করার সংবাদও স্ট্যাটাসের সঙ্গে শেয়ার করেন তিনি৷ ফ্রান্স ও জার্মানির হেট স্পিচ ও হলোকাস্ট ডিনায়া অ্যাক্টের উল্লেখ করেন সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কখনো, কোনো দেশেই অবাধ নয়৷''

এ বিষয়ে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য জানতে চায় ডয়চে ভেলে বাংলা৷ ফিরতি ইমেইলে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ‘মুক্ত ও স্বাধীনভাবে' কাজ করতে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর৷

একই সঙ্গে নির্ভরযোগ্য ও সত্যনির্ভর তথ্য পাওয়ার অধিকার প্রতিটি সমাজের নাগরিকের রয়েছে বলেও মন্তব্য পররাষ্ট্র দপ্তরের৷

তবে আলোচনায় আসা অন্যান্য বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তর৷