1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন খুবই কঠিন’

৪ জুন ২০২১

খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ‘জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্রে কেন?' অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজন-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান৷

https://p.dw.com/p/3uSIK
ছবি: DW

দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উদাহরণ টেনে আনেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান৷ তিনি বলেন,  ১৯৯১ সালের পর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে ছোটখাট প্রশ্ন উঠলেও জনমত অনুযায়ী নির্বাচনগুলো ভালো হয়েছিল৷ তবে সবশেষ দুই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরেন তিনি৷ শহীদ খান বলেন, ‘‘এখন মনে হয় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করাটা খুবই কঠিন৷ নির্বাচন যদি করতে হয়, যে দল ক্ষমতায় থাকবে সে দল, সে দলের নেতা, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনযন্ত্রের যারা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাদের অবশ্যই স্বাধীনভাবে ও দলনিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে৷''

তিনি মনে করেন চাইলে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব, কিন্তু এর পেছনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে কিনা, সেটিই বড় প্রশ্ন৷

জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেয়ার ফলে নির্বাচন প্রভাবিত করার সুযোগ তৈরি হয় বলে মনে করেন সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার৷ তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীর অনেক দেশে সরকারের কাছেই ন্যাশনাল আইডি কার্ড করার দায়িত্ব থাকে৷ সেজন্য এর একটি যৌক্তিকতা আছে৷ কিন্তু আমাদের এখানে যেভাবে এই সেবা দেয়ার বিষয়টি এসেছে, সেক্ষেত্রে এ যুক্তি খাটে না৷ কারণ, আমাদের এখানে ন্যাশনাল আইডি কার্ড সরাসরি ভোটার তালিকার ডেটাবেইজের সঙ্গে সম্পৃক্ত৷''

বর্তমান সরকারকে সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি ক্ষমতায় এনেছে এবং টিকিয়ে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন ড. বদিউল আলম মজুমদার৷ তিনি বলেন, ‘‘সরকারের দায়বদ্ধতা কিন্তু তাদের কাছেই৷ এই যে বাজেট ঘোষণা হয়েছে, সেটিও তাদের সন্তুষ্ট করারই বাজেট৷ তাদের বেতন-ভাতা, তাদের সুযোগ-সুবিধা বেড়েই যাচ্ছে৷ এখানে জনগণের তেমন কিছু বলার ছিল না, এখনও বলার নেই৷ তাই তাদেরকে সন্তুষ্ট করাই এখন সরকারের মূল লক্ষ্য৷ তারাই সরকারকে এখন ক্ষমতায় রেখেছে৷''

ভয়ভীতি, নাকি সুবিধা পাওয়ার আশায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা ‘সঠিক কাজটি' করছেন না? এমন প্রশ্নের উত্তরে কর্মকর্তাদের শক্ত অবস্থান নেয়ার ওপর গুরুত্ব দেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান৷ তিনি বলেন, ‘‘যে-কোনো নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশে গুম হয়ে যাবে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে আমি মনে করি ন৷ ফলে কেউ যদি এমন বলে থাকেন সেটা তিনি হয়তো তার দুর্বলতা ঢাকার জন্য বলেছেন৷ যদি এমন পরিস্থিতিই হয়ে থাকে, সেখানে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে এবং বলতে হবে আমি গুম হয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি৷ এটা যদি বলতে না পারেন তাহলে ওখানে যাওয়ার দরকার কী! আপনি বাড়ি যান, ঘুমান, রিটায়ার্ড লাইফ লিড করেন৷''

এডিকে/এসিবি