1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড ও আইএস বিতর্ক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ অক্টোবর ২০১৫

গত সপ্তাহে ঢাকায় ইটালীয় নাগরিক হত্যার পর, রংপুরে জাপানি নাগরিকের হত্যার ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে সরকারকে৷ তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরিই বলেছেন যে, এই দু'টি হত্যাকাণ্ডে ইসলামিক স্টেট বা আইএস জড়িত না৷

https://p.dw.com/p/1Gipj
Bangladesch Japaner Mord Kunio Hoshi
ছবি: picture-alliance/dpa/Stringer

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের দাবি, বাংলাদেশে নাকি আইএস নেই৷ তাহলে এই দুই বিদেশিকে হত্যায় কারা জড়িত? তাদের উদ্দেশ্যই বা কী? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ঢাকায় ফিরে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, ‘‘এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে বিএনপি-জামায়াতের মদদ আছে৷'' বিএনপির পক্ষ থেকে অবশ্য এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত৷ এটা ব্যর্থতা ঢাকার কৌশল৷''

‘বিদেশি হত্যার সঙ্গে আইএস-এর সংশ্লিষ্টতা নেই’

পুলিশের তদন্তে এখনো স্পষ্ট নয় যে কারা এই দুই বিদেশিকে হত্যা করেছে৷ তবে তাদের ধারণা, ‘‘দু'টি হত্যাকাণ্ডের ধরণ ও কৌশল একই৷'' ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ঢাকার গুলশানে ইটালির নাগরিক সিজার তাবেলা এবং রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডে দুর্বৃত্তরা মোটরবাইক এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে৷ অথচ অতীতে জঙ্গিরা সাধারণত কুপিয়ে হত্যা করেছে, যা আমাদের তদন্তের একটি বড় দিক৷''

নিকট অতীতে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাংলাদেশে আইএস সদস্য আটকের একাধিক ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছিল৷ তাছাড়া এই দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের দায় আইএস ইতিমধ্যেই স্বীকার করছে বলে দাবি ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের৷

কিন্তু বাংলাদেশের তদন্তকারী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই দুই বিদেশি হত্যায় আইএস জড়িত – এ কথা মানতে নারাজ৷ কোনো কোনো সংবাদপত্র খুনের নানা বিবরণ প্রকাশিতও হয়েছে৷

এ নিয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহেদুল আনাম খান (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পুরো তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় যে কারা এই দুই বিদেশিকে হত্যা করেছে৷ তবে এটা বলা যায় যে, হত্যাকাণ্ড দু'টি পরিকল্পিত৷ বাংলাদেশে আইএস না থাকলেও তাদের অনুসারী আছে৷ আর জঙ্গি তো আছেই৷''

[No title]

তিনি আরো বলেন, ‘‘জঙ্গি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করার কারণে এটাকে কখনো বড় করে দেখানো হয়, আবার কখনো ছোট করে দেখানো হয়৷ এতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়৷ তাই বাস্তব অবস্থা উবলব্ধি করে রাজনীতি নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে হবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে৷''

এদিকে ঢাকায় সোমবার মার্কিন দূত মার্শিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেন, ‘‘আমি বাংলাদেশকে এখনো নিরাপদ মনে করি৷ আমি মার্কিন নাগরিকদের এ দেশে আসতে মানাও করবো না, আবার ফিরে যেতেও বলবো না৷ শুধু বলবো, তাঁরা যেন নিজেদের নিরাপদে রাখে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য