1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে নদীর পানি দূষণমুক্ত করে ব্যবহারের উদ্যোগ

১৫ এপ্রিল ২০১০

পানি-বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য যদি আন্দোলন করতে হয়, তবে জোট সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারে যারা ছিলেন তাদের বিরদ্ধে আন্দোলন করা উচিত৷

https://p.dw.com/p/MxAi
ফাইল ফটোছবি: AP

রাজধানীর সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন৷

ঢাকার চারপাশের নদীর পানি ব্যবহার করে সমস্যা কাটানোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বললেন, নদ-নদী পানি বিশুদ্ধ রাখতেও সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে৷

গরমে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানি-বিদ্যুতের হাহাকার চলছে, বাড়ছে এসব নিয়ে নগরবাসীর ক্ষোভ-বিক্ষোভ৷ এই পরিস্থিতিতে সাড়ে ২২ কোটি লিটার পানি শোধনের সমর্থ সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ প্রথম পর্যায়ের পানির সঙ্গে এই পরিমাণ পানি যোগ হলে সমস্যা অনেকটা কমবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, আগের দুই সরকার বিদ্যুৎ-পানির প্রকল্পগুলি কেন করেনি তার জবাব দিতে হবে৷

ঢাকায় প্রতিদিন ২২০ কোটি লিটার পানির চাহিদার মধ্যে বড়জোর ওয়াসা ১ শ‘ ৫০ কোটি লিটার পানির যোগান দিতে পারলেও এর ৮৭ ভাগই আসে গভীর নলকূপ থেকে৷ পানির স্তর নেমে যাওয়ার ঝুঁকির কথা জানিয়ে ভূ-উপরিভাগের পানি ব্যবহারে সরকারের পদক্ষেপের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, নদীর নাব্যতা বাড়িয়ে দূষণমুক্ত করে তা ব্যবহার করা হবে৷ এ ক্ষেত্রে তিনি পদ্মা, মেঘনা, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর কথা বলেন৷

দেশে বিদ্যুতের উৎপাদনও চাহিদার তুলনায় কম৷ প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ৩ হাজার ৮ শ‘ মেগাওয়াট৷ পানি ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধে আরো মিতব্যয়ী হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে খরচ কমবে, তেমনি জাতীয় সম্পদও রক্ষা পাবে৷

প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক