1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফরাসি নাগরিক আটক রহস্য

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলা কক্সবাজারের কারাগারে গত এক সপ্তাহ ধরে আটক ফরাসি নাগরিক মুসা ইবনে ইয়াকুব৷ টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ‘সন্দেহজনক’ কাজ করার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে আটক করে৷

https://p.dw.com/p/1HUb7
Bangladesch Rohingya Flüchtlingslager
ছবি: Getty Images/S. Rahman

মুসার আসল নাম পুয়েমো চঁচুয়্যাঁ৷ তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকায় বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় আটক করা হয় তাঁকে৷ ডয়চে ভেলেকে এ কথা জানান টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওসি মো. আতাউর রহমান খান৷ তিনি জানান, আটক এই ফরাসি নাগরিক টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ফ্রান্স ভিত্তিক এনজিও বারাকা সিটি-র হয়ে কাজ করতেন৷ তবে আসল নামের পরিবর্তে মুসা ইবনে ইয়াকুব হিসেবেই নিজের পরিচয় দিতেন তিনি৷ আর এই নামেই তিনি ঐ এলাকায় পরিচিত ছিলেন৷

ওসি মো. আতাউর রহমান খান জানান, ‘‘গত ২২শে ডিসেম্বর মুসাকে আটক করা হয়৷ ক্যাম্প এলাকায় সন্দেহজনক আচরণ এবং কাজকর্মের জন্যই তাঁকে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে৷''

মুসার বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দষ্ট অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে ওসি দাবি করেন, ‘‘ফরাসি এই নাগরিক টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নানা ধরণের তৎপরতা চালাচ্ছিলেন৷ এছাড়া তিনি মুসলিম না হয়েও মুসলিম পরিচয় এবং নাম ধারণ করেন৷''

[No title]

কিন্তু মুসলমান নাম নেয়া কোনো অপরাধ নয়৷ তাই মুসা ঠিক কী ধরনের অপরাধ করেছেন জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘‘এ নিয়ে এখন তদন্ত হচ্ছে৷ তদন্তে অপরাধের ধরন জানা গেলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে৷ এখনও পর্যন্ত তিনি শুধুই একজন সন্দেহভাজন৷ আর এ কারণেই তাঁকে ৫৪ ধারায় আটক করে রাখা হয়েছে, এখনও রিমান্ডে নেয়া হয়নি৷''

ওদিকে আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, মুসাকে ৪০ জন কারাবন্দির সঙ্গে মানবেতর অবস্থায় রাখা হয়েছে৷ তাই মুসাকে আদালতে হাজির করা হলেই ঢাকার ফরাসি দূতাবাস তাঁকে প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা দেবে৷

সংবাদমাধ্যমটি শামীম নামের একজন আইনজীবীকে উদ্ধৃত করে জানায় যে, মুসার বিরুদ্ধে মিথ্যা পরিচয় দেয়ার অভিযোগ আনা হতে পারে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড৷ এছাড়া এই ফ্রান্স ভিত্তিক এনজিও বারাকা সিটি সালাফি মুসলিমদের অর্থায়নে পরিচালিত বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি৷ ফ্রান্সের পুলিশ এই বেসরকারি সাহায্য সংগঠনটির ফরাসি কার্যালয়ে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বলে খবর৷ অবশ্য সংগঠনটির বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷

এদিকে এই ফরাসি নাগরিকের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ টুইটারে #FreeMoussa বা #ফ্রিমুসা নামে একটি হ্যাশট্যাগ চালু হয়েছে৷ গত ১৬ ঘণ্টায় ২০০০ বার হ্যাশট্যাগটি ব্যবহৃত হয়েছে৷ অন্যদিকে ফেসবুকে প্রায় এক লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী মুসার মুক্তির জন্য একটি আবেদনে সই করেছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য