1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে হরতালে ব্যাপক সংঘর্ষ, গ্রেফতার

২৭ জুন ২০১০

সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাসকে গ্রেফতারের পরপরই হরতালের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে৷ তাঁকে গ্রেফতারের পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁর শাহজাহানপুরের বাসায় অভিযান চালায়৷

https://p.dw.com/p/O4VA
বিক্ষোভের চিত্রছবি: AP

মীর্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করেন, ব়্যাব সদস্যরা বাসায় ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্য এবং কর্মচারীদের মারপিট করে৷ এমনকি তাঁর ওপরেও হামলা চালিয়েছে৷ মীর্জা আব্বাস ছাড়াও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, বিএনপি নেতা শমসের মবিন চৌধুরী, আহমেদ আযম খানসহ বিএনপির ৯৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়৷

হরতালে পুরনো ঢাকা ও শাহবাগে ব্যাপক সংঘর্ষের পর বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আহত অবস্থায় হাপাতালে ভর্তি হলে তাঁকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ হরতাল চলাকালে নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয় কার্যত অবরুদ্ধ থাকে৷ বিএনপি নেতা মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর জানান, পুলিশ দু'দিকে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে রেখেছিল৷

হরতালে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল তেমন ছিলনা৷ দোকানপাট খোলেনি৷ চলেনি দূর পাল্লার যানবাহন৷ সরকারি অফিস খুললেও তেমন কাজকর্ম হয়নি৷ গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানিসংকট নিরসনসহ ১১ দফা দাবীতে বিএনপি এই হরতাল কর্মসূচি পালন করে৷

হরতালে ছাত্রলীগ প্রতিরোধের ভূমিকা নিয়ে মাঠে নামে বলে অভিযোগ করে বিএনপি৷ জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গ সংগঠন নয়৷ সন্ধ্যায় হরতাল শেষে বিএনপি'র মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন হরতাল সফল হওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ছেন৷ হরতালে বাধা, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপি সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়