1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোনা চোরাচালান

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের দুটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রতিদিনই এ সব চালানের একাংশ ধরা পড়ছে৷ তবে বড় অংশ থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে৷ কাস্টমস কমিশনার হোসাইন আহমেদ জানান, এ সব সোনার একটা বড় অংশ বাংলাদেশ হয়ে ভারতে যায়৷

https://p.dw.com/p/1DLZ5
ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও চোরাচালানের কাজে লাগানো হচ্ছেছবি: picture alliance/Asian News Network

আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালানকারীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক ও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ৷ কিছুদিন পরপর দু-একটি করে চালান ধরা পড়ছে বটে, কিন্তু বড় অংশই ধরা পড়ছে না৷ আর যা ধরা পড়ছে তাতে যতটা না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কৃতিত্ব, তার চেয়ে বেশি কৃতিত্ব চোরাচালানের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর৷

গত ১৬ মাসে বাংলাদেশে আটক হয়েছে দুই হাজার ২৭ কেজি সোনা৷ কাগজে-কলমে অবশ্য এক ভরি সোনাও গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে আমদানি হয়নি৷ এর মানে হলো, এই দেশে সোনার বাজারের পুরোটাই কালোবাজার৷ এছাড়া এর সঙ্গে আছে ভারতে পাচার৷

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে সোনা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেয়ার পর, ভারতে সোনা চোরাচালানের ট্রানজিট রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা৷ আর বাংলাদেশও এই চোরাচালান ঠেকাতে সোনা আমদানির ওপর ২০ গুণ শুল্ক বাড়িয়েছে৷ কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি৷ উল্টো চোরাচালান আরো বেড়েছে৷

ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা সোনার একটি অংশ প্রায়ই বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ এমনকি বিমানের টয়লেটেও মেলে চোরাচালানের সেনা৷ জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকার হযরত শাহজালাল ও চট্টগ্রাম শাহ-আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেসব চোরাচালান ধরা পড়ছে, এর নেপথ্যে রয়েছে স্মাগলারদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের আন্তঃবনিবনা ও তাদের সঙ্গে পাচারকারীদের বনিবনা না হওয়া৷ তাছাড়া চোরাচালানের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাগুলোয় বহনকারীরা অভিযুক্ত হলেও, মূল হোতারা বরাবরই থেকে যাচ্ছে আড়ালে৷ গত পাঁচ বছরে প্রায় চার হাজার সাড়ে ৮শ' কেজি সোনা ধরা পড়লেও কোনো ‘গডফাদার' ধরা পড়েনি৷

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারীরা বাংলাদেশকে চোরাচালানের অন্যতম নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে৷ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, দুবাই, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আকাশ পথে সোনার চোরচালান আসছে বাংলাদেশে৷ তবে সীমান্ত পথও থেমে নেই৷ ভৌগোলিক ও সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশ সহজেই ব্যবহার হচ্ছে সোনা পাচারের রুট হিসেবে৷

কাস্টমস কমিশনার হোসাইন আহমেদও মনে করেন, যে সোনা ধরা পড়ছে তা চোরাচালানকৃত সোনার সামান্য অংশ মাত্র৷ আর বাংলাদেশে আসা চোরাচালানকৃত সোনার মূল গন্তব্য ভারত৷ বিমানবন্দরে আসার পর সোনা সীমান্ত পথে ভারতে যায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য