1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশ-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক এ মুহূর্তে সত্যিই শোচনীয়৷ সর্বশেষ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে আটক ও পাকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তার ৭ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার ঘটনায় পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে৷

https://p.dw.com/p/1HpEI
Bagladesch Demo Urteil Abdul Quader Mollah
ছবি: Reuters

বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা নাকচ করে দিলেও, বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান যদি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ বন্ধ না করে তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে৷

সোমবার ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা আবরার আহমেদ খানকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে৷ পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়৷ বাংলাদেশের গোয়েন্দদের দাবি, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁকে আটক করা হয়েছিল৷

বাংলাদেশে যখন এ ঘটনা চলছিল, তখন ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে প্রায় সাত ঘণ্টা কোনো কারণ ছাড়াই আটক রাখা হয়৷

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইসলামাবাদে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইংয়ের পার্সোনাল অফিসার জাহাঙ্গির হোসেন সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর অফিস থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে বের হন৷ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, বড় মেয়েকে কোচিং থেকে তুলে সোজা বাসায় যাবেন৷ কিন্তু পথের মধ্যে কয়েকজন ‘সিকিউরিটি' পরিচয়ধারী লোক তাঁকে তুলে নিয়ে যায়৷ পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়৷

Bangladesch Dhaka Proteste
ছবি: picture-alliance/dpa

এই ঘটনার পর মঙ্গলবার ঢাকায় পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত সুজা আলমকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের জানান, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কোনো আশঙ্কা নেই৷''

বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত তিনজন পাকিস্তানি কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ ১৫ বছর আগে ২০০০ সালে, পাকিস্তানের উপ-রাষ্ট্রদূত ইরফানুর রাজাকে বাংলাদেশ অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বহিষ্কার করে৷ ঢাকায় একটি সেমিনারে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷

এরপর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তান দূতাবাসের অন্য এক কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মাজহার খান জালনোটসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন৷ মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁকে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়৷

সর্বশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়৷

মোহাম্মদ জমির

ফারিনা আরশাদকে বহিষ্কারের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কোনো ধরনের কারণ না দেখিয়েই পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) মৌসুমী রহমানকে প্রত্যাহার করে নিতে বলে দেশটি৷

বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক মোহাম্মদ জমির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পাকিস্তান তার দূতাবাসের কর্মকর্তাদের মাধমে এখানে জঙ্গিবাদ ছড়াতে চায়৷ তাদের কর্মকর্তারা জাল টাকার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত৷ এ সব বিষয়কে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যায় না৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘এ সবের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যখন কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেয় তখন পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের কূটনীতিকদের হয়রানি করে৷''

মোহাম্মদ জমির বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে৷ পাকিস্তান এখনো একাত্তরের পরাজয় ভুললে পারেনি৷ ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনার বিচার করেনি৷ আমি বলছি না যে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে৷ তবে অমিমাংশিত সমস্যার সমাধান না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রাখা দুস্কর হয়ে পড়বে৷''

আপনি কী মনে করেন? বাংলাদেশের কি পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য