1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলা ব্লগে মুক্তিযুদ্ধের জমজমাট উপস্থিতি

৬ ডিসেম্বর ২০১০

বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম সম্পর্কে বেশ আশাবাদী মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডাররা৷ যেমন কে এম সফিউল্লাহ গর্বের সঙ্গেই বলেন, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধটাকে সম্মানের সাথে দেখে৷ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ ক’রে আছে৷

https://p.dw.com/p/QQSN
বর্তমান প্রজন্মের ইন্টারনেট লেখনীতে মুক্তিযুদ্ধ অন্যতম বিষয়
ডয়চে ভেলের সেরা বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ব্লগার আলী মাহমেদ একাত্তরের বেশ কয়েকজন বীর সেনাকে নিয়ে লিখেছেনছবি: DW

এই বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে ইন্টারনেটের সখ্য কিন্তু বেশ গাঢ়৷ ফেসবুক, টুইটার কিংবা বাংলা ব্লগিং- সর্বত্রই তরুণদের স্বচ্ছন্দ বিচরণ৷ স্বভাবতই, মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টিও তাই দেখা যায় বর্তমান প্রজন্মের ইন্টারনেট লেখনীতে৷ ব্লগার অমি রহমান পিয়াল নিরলসভাবে লিখে চলছেন স্বাধীনতার গল্প, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের কথা, আর অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের কথাও৷ অমি'র এসব লেখা মাঝেমাঝেই ইন্টারনেট আঙিনায় ঝড় তোলে৷

মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা

ব্লগ সাইট সচলায়তনে ব্লগার ষষ্ঠ পাণ্ডব মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা নিয়ে বিশদ লিখেছেন৷ বিভিন্ন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে একটু ভিন্নভাবে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷

বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়া

মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অনেক স্মৃতিও উঠে এসেছে ব্লগারদের পাতায়৷ মুক্তমনায় নৃপেন্দ্র সরকার লিখেছেন '৭১ এর স্মৃতি৷ সেসময় পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিরা টিকিট ছাড়াই ট্রেনে চড়তে পারতো৷ সেই বিনা টিকিটে চড়ার করুণ অভিজ্ঞতা চমৎকারভাবে ব্লগে ফুটিয়ে তুলেছেন সরকার৷

যোগ হচ্ছে অজানা তথ্য


এভাবে বাংলা ব্লগ সাইটগুলো মুক্তিযুদ্ধের তথ্যে দিনে দিনে সমৃদ্ধ হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, সাধারণের অজানা অনেক তথ্যের, অনেক যোদ্ধার খোঁজ দিচ্ছে ব্লগাররা৷ ব্লগার আলী মাহমেদ এমনই একজন, যিনি একাত্তরের কয়েকজন বীর সেনাকে নিয়ে লিখেছেন৷ এই সেনারা স্বীকৃত সংবাদমাধ্যমে তেমন জায়গা পায়নি৷ তারপরও তাদের গল্প অনলাইন পাঠকের মনে শিহরণ জাগায়৷ আলী মাহমেদ বলেন, ব্লগস্ফেয়ারে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এখন প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে৷ তবে হতাশাব্যাঞ্জক একটা সময়ও ছিল৷ বিশেষ করে ২০০৫ সালের দিকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি করছে এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা যেত৷ এর কারণও আছে৷ সেসময় ব্লগস্ফেয়ারে তথ্যের ঘাটতিও ছিল৷

Screenshot www.amarblog.com/
বর্তমান প্রজন্মের ইন্টারনেট লেখনীতে মুক্তিযুদ্ধ অন্যতম বিষয়ছবি: http://www.amarblog.com/

ডয়চে ভেলের সেরা বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এই ব্লগার মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক লেখালেখি সারা বছর ধরেই চলা উচিত৷ নির্দিষ্ট কোন মাস বা দিনকেন্দ্রিক নয়, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে হৃদপিণ্ডের মতো৷ সারা বছরই এটা নিয়ে আপনি মাথা ঘামাবেন, গবেষণা করবেন, চর্চা করবেন এমনটাই হওয়া উচিত৷

ছবি ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিরাজুর রহমান৷ মুক্তিযুদ্ধের ছবি নিয়ে ২০০৭ সালে একটি ব্লগ পোস্ট করেন তিনি৷ যুদ্ধের গুটিকয়েক ছবি ছিল সেই পোস্টে৷ তরুণ প্রজন্ম এই লেখাটিকে অত্যন্ত পছন্দ করেছিল৷গুগলের কল্যাণে এখনো সেখানে ঢুঁ মারে পাঠকরা৷ এভাবেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখালেখি ইন্টারনেট জগতে চিরস্থায়ী এক জায়গা করে নিচ্ছে৷

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিভিন্ন বাংলা ব্লগ সাইটে নিবন্ধিত ব্লগারের সংখ্যা লক্ষাধিক৷ তাছাড়া বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে সমানতালে৷ তাই, ভবিষ্যতে ব্লগিংই মুক্তিযুদ্ধের তথ্যভাণ্ডারকে আরো সমৃদ্ধ করবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক