1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাগবোর ক্ষমতা ছাড়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি

৫ এপ্রিল ২০১১

আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট লরাঁ বাগবো আত্মসমর্পণ করেছেন, এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরে আবিজানে বাগবোর বাহিনী এবং আলাসান ওয়াতারার সমর্থক বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই মঙ্গলবার ধীরে ধীরে কমে এসেছে৷

https://p.dw.com/p/10nrZ
লরাঁ বাগবোছবি: picture alliance / dpa

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বাগবো৷ এ খবর সকাল থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল৷ তা সত্ত্বেও, বাগবো তাঁর পদ ধরে রেখেছেন বলেই জানা গেছে৷ তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ফরাসি রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছেন বাগবো'র পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলসিড জেজে৷

ফ্রান্সে নিয়োজিত ওয়াতারার স্বীকৃত দূত এ্যালি কুলিবালি মঙ্গলবার সকালে ফ্রান্স ইনফো রেডিওকে তার সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, বাগবো তাঁর আত্মসমর্পণের ব্যপারে আলোচনা চালাচ্ছেন৷ তবে আবিজানের কোনো সরকারি মাধ্যম থেকে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি৷ আরেকটি অসর্মর্থিত খবরে বলা হচ্ছে বাগবো এবং তার পরিবার বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন৷

Elfenbeinküste Demonstration Anhänger Gbagbo
ছবি: picture-alliance/dpa

মঙ্গলবার সকালে বাগবোর মুখপাত্র আহুয়া ডন মেলো বলেন, বাগবো তাঁর বাড়ি, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং আবিজানে দেশের সবচেয়ে বড় সামরিক শিবির নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন৷ ঐ মুখপাত্র বলেন, আকুয়েডো সামরিক শিবির ছাড়া সব কৌশলগত স্থাপনাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ ঐ সামরিক শিবিরটি ধ্বংস হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আগবান শিবির, পুলিশ স্কুল, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, বাসভবন এবং আরটিআই টেলিভিশন কেন্দ্র সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছেন বাগবো৷'' তবে একই সঙ্গে ঐ মুখপাত্র বলেন, ‘‘বাগবো আশ্চর্য হয়েছেন যে, ফ্রান্স সরাসরি আইভরি কোস্টে হামলা করেছে, কেননা তিনি আলোচনার দরজা বন্ধ করেননি৷''

ফ্রান্স এবং জাতিসংঘ বাহিনীর এক যৌথ অভিযানে সোমবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, প্রেসিডেন্টের বাড়ি, এবং দুটি সামরিক ব্যারাকের ওপরে হামলা চালানো হয়৷ ৬৫ বছর বয়স্ক বাগবো ঐ সামরিক ব্যারাক দুটি নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং সেখানকার ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছেন বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে৷ তবে লরাঁ বাগবোর সমর্থক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ফিলিপ মাংগোও মঙ্গলবার সর্বশেষ খবরে জানিয়েছেন, তাঁর সৈন্যরা প্রতিদ্বন্দ্বী আলাসান ওয়াতারার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করেছে৷

এদিকে, আইভরি কোস্টে জাতিসংঘ সৈন্যদের লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আইভরি কোস্ট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মস্কোতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘আমরা এই ইস্যুর বৈধ দিকটি দেখতে চাই৷ কেননা, নিয়ম অনুযায়ি শান্তিরক্ষীরা নিরপেক্ষ থাকবে, কোনো পক্ষ অবলম্বন করতে পারবে না৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের এইসব প্রশ্নের কোন সঠিক জবাব পাইনি, তবে আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি৷''

ওদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করাই ঐ অভিযানের লক্ষ্য এবং বাগবোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি৷ অপরদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান টেওডেরো ওনিয়াং এনগুয়েমা আইভরি কোস্ট ও লিবিয়ায় বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপের নিন্দা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আফ্রিকাকে অবশ্যই তাদের নিজেদের ব্যবস্থা নিজেদের করতে দিতে হবে৷''

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনের লড়াইয়ে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী