1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘বাঙালিদের কাছ থেকে আশাবাদের শিক্ষা’’ – কোলনের দৈনিক

১১ এপ্রিল ২০১০

বাংলাদেশে স্টাডি ট্যুর করে ফিরে এসেছে কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের এক দল ছাত্রছাত্রী৷ তাদের এই অভিজ্ঞতার কথা সবিস্তারে প্রকাশ করেছে কোলনের দৈনিক ‘ক্যোয়েলনার স্টাট আনসাইগার’৷

https://p.dw.com/p/Mt2T
তৈরি কাপড়ের কারখানা পরিদর্শন করেছে কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাছবি: AP

দু' সপ্তাহ ধরে প্রফেসর বরিস ব্রাউনের নেতৃত্বে মোট ২৮ জন ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশে মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ ও সম্ভাবনার সঙ্গে পরিচিত হয়েছে৷ একই সাথে উন্নয়নের পথে বাধাগুলোর কথাও তারা জেনেছে৷ জানাচ্ছে কোলনের দৈনিক ‘ক্যোয়েলনার স্টাট আনসাইগার'৷ পত্রিকাটি লিখছে :

এতদিন এই জার্মান ছাত্রছাত্রীদের কাছে বাংলাদেশ বলতে প্রাথমিকভাবে বুঝিয়েছে দারিদ্র্য অথবা ‘‘মেড ইন বাংলাদেশ'' লেখা এইচ অ্যান্ড এম কোম্পানির জামাকাপড়৷ কিন্তু এবার বাংলাদেশে গিয়ে মুগ্ধ ২৪ বছরের ফাবিয়ান জনেনবুর্গ৷ তবে এ মুগ্ধতা তার কাছে একই সঙ্গে ‘‘ইতিবাচক এবং নেতিবাচক'' অনুষঙ্গ নিয়ে ধরা পড়েছে৷ রাজধানীর বস্তিগুলোতে মানুষের দরিদ্রদশার ছবি তাকে মানসিকভাবে কষ্ট দিয়েছে৷ কিন্তু একই সঙ্গে সে বাঙালিদের ‘‘ইতিবাচক প্রকাশভঙ্গি আর অতিথিপরায়ণতা'' দেখে চমৎকৃত হয়েছে৷ তৈরি কাপড়ের এক কারখানায় জার্মানির সুপারমার্কেট চেইন কারস্টাট-এর ছাপ মারা কার্ডবোর্ডের বাক্স দেখে সে আরও চমৎকৃত৷ তার কথায় : ‘‘এখানকার মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে ইউরোপে আমাদের ভোগ্যপণ্য কেনার যোগটা যে কত জোরালো, তার একটা ছবি আমি পেয়ে গেছি৷''

কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের স্টাডি ট্যুরে ফাবিয়ানের অন্যতম সঙ্গী সেবাস্টিয়ান হাগেন অবশ্য কখনও কখনও বাংলাদেশে বিপুল জনস্রোতের ভীড়ে অসহায় বোধ করেছে৷ কিন্তু সেও মানুষের ‘‘অবিশ্বাস্য রকমের বন্ধুসুলভ ব্যবহার আর আশাবাদী মনোভাব'' দেখে মুগ্ধ৷ জার্মানিতেও মানুষের মধ্যে এরকম মনোভাবই তার কাছে কাম্য৷ পত্রিকার কাছে তার অকপট ভাষ্য : ‘‘ কতটা নমনীয়তার সঙ্গে মানুষ তার নিত্যদিনের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করতে সক্ষম, সেই শিক্ষাটা আমরা বাংলাদেশ থেকে নিতে পারি৷''

কোলনের ছাত্রছাত্রীরা তৈরি কাপড়, চামড়া আর চিংড়ি শিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে৷ বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনাও ছিল সফরসূচির অন্তর্ভুক্ত৷ প্রফেসর ব্রাউন এ নিয়ে তিনবার বাংলাদেশে স্টাডি ট্যুরের ব্যবস্থা করলেন৷ লক্ষ্য, বাংলাদেশের মত একটি অঞ্চলকে তার ভৌগলিক, প্রাকৃতিক এবং মানবশক্তির দিক থেকে খুঁটিয়ে দেখা৷ দৈনিক ক্যোয়েলনার স্টাট আনসাইগার পত্রিকা লিখছে :

বাংলাদেশে ভুগোল বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের দু' সপ্তাহের স্টাডি ট্যুরের ফল হল এরকম: পর্যটন-পরিকাঠামোর অভাবজনিত কারণে বাঙালিদের এই দেশে ঘুরে বেড়ানো সহজ না হলেও এই ট্যুর কাজে লেগেছে৷ ভাবী ভুগোলবিদদের কেউ কেউ শিক্ষানবিশি করতে অথবা তাদের ডিপ্লোমার কাজের সূত্রে শিগগির আবার বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায়৷

প্রতিবেদক : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ