1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাড়ি বন্ধকি সংকট

১৫ অক্টোবর ২০১৪

সে আমলে জামানত রাখা বাড়ি ব্যাংকের হাতে ছেড়ে দিয়ে ঋণ শোধ করা থেকে মুক্তি পাওয়া গেল, বলে যাঁরা ভেবেছিলেন, এত বছর পরে তাঁরা আবার ব্যাংকের চিঠি পাচ্ছেন ‘‘ডেফিসিয়েন্সি জাজমেন্টের’’ কপি সহ৷

https://p.dw.com/p/1DVUN
Vermont State House, Montpelier, Vermont
ছবি: picture alliance/Fraser Hall/Robert Harding

২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাব-প্রাইম মার্কেট, মানে বাড়ি বন্ধকির বাজার যখন ধসে যায়, তখন হাজার হাজার মার্কিনি তাঁদের বন্ধকি ঋণের কিস্তি শোধ না করতে পারার ফলে ব্যাংকগুলি সেই সব ঋণ ‘ফোরক্লোজ' করতে, অর্থাৎ বন্ধকি বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করতে বাধ্য হয়৷ মুশকিল এই যে, বাড়িগুলি বেচে ব্যাংকরা তাদের প্রদত্ত ঋণ সুদে-আসলে ফেরত পায়নি৷ অর্থাৎ হাউজিং সংকটের ফলে অ্যামেরিকার ব্যাংকিং সেক্টরের যে এক ট্রিলিয়ন ডলার পরিমাণ ঋণ বকেয়া হয়ে যায়, তার অনেকটাই উশুল করা সম্ভব হয়নি – অন্তত সে আমলে হয়নি৷

এবার কিন্তু ফ্যানি মে এবং ফ্রেডি ম্যাক-এর মতো সরকার-নিয়ন্ত্রিত হাউজিং ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলি – এবং সেই সঙ্গে বন্ধকি ঋণ বাজারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান – দেনদারদের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করছে, তাদের বহুবছর আগে করা ঋণ শোধ করার জন্য৷ সেজন্য এই ঋণদাতা প্রতিষ্টানগুলি আইনের যে অস্ত্রটি ব্যবহার করছে, তার নাম হলো ‘‘ডেফিসিয়েন্সি জাজমেন্ট ''৷ আদালত থেকে প্রদত্ত এই রায় অনুযায়ী দেনদারকে তার পুরনো দেনা শোধ করতে বাধ্য করা যায়৷

ফোরক্লোজার থেকে ডেফিসিয়েন্সি জাজমেন্ট

২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের জুন মাস পর্যন্ত ফ্যানি মে প্রায় ছ'লাখ ফোরক্লোজার করে, অর্থাৎ বকেয়া দেনদারদের বাড়ির মালিকানা নিজের হাতে নেয় – এবং তার মধ্যে প্রায় তিন লাখ মামলা ‘ডেট কলেক্টর' বা ঋণ সংগ্রহ সংস্থাদের হাতে দেয়, যা-তে সেই সব সংস্থা আদালতের কাছ থেকে ডেফিসিয়েন্সি জাজমেন্ট নিয়ে ব্যাংকের বকেয়া আদায় করে দিতে পারে – স্বভাবতই নিজেদের কমিশন রেখে৷ দৃশ্যত সরকারি তত্ত্বাবধায়কের তরফ থেকেই ফ্রেডি ম্যাক-কেও অনুরূপ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে, তাই ফ্লোরিডায় শুধুমাত্র গতবছর দশ হাজার ডেফিসিয়েন্সি জাজমেন্ট-এর মামলা দায়ের করা হয়েছে৷

দেনদাররা স্বভাবতই এককালের সেই নতুন বাড়ি, আজকের পুরনো বাড়ির মামলা প্রায় ভুলেই বসে আছেন – কাজেই হাজার হাজার ডলার ঋণশোধের দাবি দেখে তাঁদের চমকে যাওয়ারই কথা! অথচ এই ঋণ তো নয়, ঋণের ভূত থেকে বাঁচার একমাত্র পন্থা হলো, নিজেকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করা – যা করলে অন্তত দশবছরের জন্য ক্রেডিট কার্ড আটকে থাকবে, গাড়ি কিংবা বাড়ি কেনার ঋণ পাওয়া যাবে না৷ কাজেই অনেক ক্ষেত্রেই দেনদাররা ব্যাংকের প্রস্তাবিত কোনো ঋণ পরিশোধ কর্মসূচি কিংবা আদালত-বহির্ভূত অন্য আপোষে রাজি হয়ে যান৷

ডেফিসিয়েন্সি জাজমেন্ট-এর আরেকটা সুবিধা – এবং দেনদারদের পক্ষে অসুবিধা – হলো এই যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ক্ষেত্রবিশেষে ৩৬ বছর অবধি সময় পায়, আদত দেনদারদের খুঁজে বার করে তাদের পাওনা উশুল করার জন্য৷ এছাড়া একবার জাজমেন্ট বা রায় হাতে এলে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বাদবাকি বকেয়ার উপর বছরে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সুদ ধরতে পারে – যতদিন না স্ট্যাটিউট অফ লিমিটেশন সে দরজা বন্ধ করছে৷

কাজেই ঋণের বোঝা বেড়েই চলে...

এসি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য