1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাতিল কাপড় রিসাইক্লিং করলে কোটি টাকা মুনাফা!

১৪ ডিসেম্বর ২০২১

ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ বেশিদিন একই পোশাক পরতে পছন্দ করে না৷ অথচ জামা-কাপড় রিসাইকেল করতে পারলে পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি বিশাল মুনাফাও করা সম্ভব৷

https://p.dw.com/p/44DUW
Textil-Recycling GmbH in Bitterfeld-Wolfen
ছবি: picture-alliance/dpa/Soex Group

নতুন টি শার্ট, নতুন প্যান্ট৷ আরও একটি টি-শার্ট৷ সেইসঙ্গে বিশেষ সেল থেকে আরও এক জোড়া স্পোর্টস শু কিনলে মন্দ কী! খুব সম্ভবত সেই সব নতুন পোশাক-পরিচ্ছদ জঞ্জালের স্তূপে স্থান পাবে৷ যেমনটা বছরে নয় কোটি ২০ লাখ কাপড়ের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে৷ মাত্র এক শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়৷ এটাই হলো ‘ফাস্ট ফ্যাশন' ধারার প্রকৃত মূল্য৷ এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশনের লাউরা বালমোন্ড বলেন, ‘‘২০০০ থেতে ২০১৫ সালের মধ্যে কাপড় উৎপাদনের হার দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে৷ অন্যদিকে এক একটি কাপড়ের ব্যবহারের সময় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে৷''

জার্মানির পূর্বাঞ্চলে ভল্ফেন শহরে একটি সর্টিং সেন্টারে বিশাল পরিমাণ জামা-কাপড় জমা হয়৷ তবে সেখানে জামা-কাপড়কে নতুন কাঁচামাল হিসেবে গণ্য করা হয়৷

বাতিল কাপড় পুনর্ব্যবহারে কোটি টাকা!

কর্মীরা প্রতিদিন ২০০ টন পর্যন্ত পুরানো জামাকাপড় অবস্থা, শ্রেণি ও উপাদান অনুযায়ী ভাগ করেন৷ ইউরোপে এটাই অন্যতম বড় কেন্দ্র৷ গোটা বিশ্ব থেকে দোকান-বাজার বা কন্টেনারে ফেলে দেওয়া জামাকাপড় সেখানে আসে৷

সর্টিং প্রক্রিয়ার পর সেগুলি হয় সেকেন্ড হ্যান্ড দোকানে পাঠানো হয় অথবা রিসাইক্লিং কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়৷ এই প্রণালী কাজে লাগালে বড় মুনাফা হতে পারে৷ ফ্যাশন জগতে এমন চক্রাকার ব্যবস্থা চালু করতে পারলে ৫০,০০০ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব৷ এসওইএক্স কোম্পানির কর্ণধার পাউল ড্যোর্টেনবাখ বলেন, ‘‘আমাদের জামা-কাপড়ের মধ্যে মূল্যবান সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে৷ সেগুলির পুনর্ব্যবহার না করা সত্যি দুঃখজনক৷ ক্রেতাদের বাতিল অথবা অপছন্দ করা জামাকাপড়ের সন্ধান করে আমরা আবার নতুন মূল্য সৃষ্টি করছি৷ তবে কিছু মানুষের এমন ধরনের কাপড়ের চাহিদা রয়েছে৷ এভাবেও মূল্য সৃষ্টি করা হয়৷''

‘ফাস্ট ফ্যাশন' ধারার কারণে ব্যবহৃত জামাকাপড়ের চাহিদাও বাড়ছে৷ পাউল ড্যোর্টেনবাখ এ ক্ষেত্রে ‘সার্কুলার ফ্যাশন' উদ্যোগের মারিও মালৎসাখারের সঙ্গেও কাজ করছেন৷ বার্লিনের এই উদ্যোগ পোশাক শিল্পকেও টেকসই মডেলের দিকে ঠেলে দেবার চেষ্টা করছে৷ ড্যোর্টেনবাখ বলেন, ‘‘আমরা কাসমেরের মতো অতি মূল্যবান পণ্য নিয়েও কাজ করি৷ হাত দিলেই সেটি চেনা যায়৷ উপাদান শনাক্ত করার প্রযুক্তি চালু হলে আরও অনেক কিছু সম্ভব হবে৷ কারণ মিশ্র উপাদানের জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে আমাদের নিখুঁত তথ্যের প্রয়োজন হয়৷''

‘সার্কুলার ফ্যাশন' উদ্যোগের মারিও মালৎসাখার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কোনো পোশাকে ৮০ শতাংশ নাকি ৯০ শতাংশ উল রয়েছে, ভবিষ্যতে তা প্রাসঙ্গিক হবে৷ ১০০ শতাংশ উল থাকলে রিসাইক্লিং কোম্পানি অন্য মানের পণ্য তৈরি করতে পারবে৷ অথবা সে ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ উল আছে, শুধু এমন পোশাক বেছে নিয়ে কাজ করা যাবে৷ তখন রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ার শেষে ফ্যাশন শিল্প সেই পণ্য আবার কাজে লাগাতে পারবে৷''

আর পরার উপযুক্ত নয়, এমন কাপড়ের একটা অংশেরও রিসাইক্লিং করা হচ্ছে৷ তার পরিমাণ  প্রতিদিন ৬০ টন৷ মূলত গাড়ি শিল্পেই নতুন এই উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে৷

তাতিয়ানা কন্দ্রাটেংকো/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য