1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাফানা বাফানা

২৭ মে ২০১০

এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে আর যাই হোক, দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ফুটবল দল ‘বাফানা বাফানা’র নাম কিন্তু তেমনভাবে শোনা যাচ্ছে না৷ তবে স্বাগতিক দেশ হিসেবে তাদের খেলা দেখা যাবে প্রথম দিনেই৷

https://p.dw.com/p/NYXh
‘বাফানা বাফানা’ দলের সমর্থকরাছবি: picture alliance / dpa

সাড়ে চার কোটি জনসংখ্যার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘বাফানা বাফানা’ কিন্তু অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ তাই ‘বাফানা বাফানা’ কোথাও খেললেই হাজার হাজার সমর্থক হাজির হয়৷ সঙ্গে থাকে প্লাস্টিকের এক ধরণের বাঁশি - যার স্থানীয় নাম ভুভুজেলা৷ যখনই কোন খেলোয়াড়ের পায়ে বল আসে, এবং সে এগিয়ে যায় গোলপোস্টের দিকে – তখনই সশব্দে, আশেপাশের সমর্থকরা যত জোরে পারে ভুভুজেলা বাজাতে থাকে৷ আর গোল হলে তো কথাই নেই !

‘বাফানা বাফানা’র অধিনায়ক অ্যারোন মোকোয়না৷ বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘আমার দেশে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আমিই হচ্ছি দলের ক্যাপ্টেন৷ সেজন্য আমি খুবই গর্বিত৷ এটা স্বপ্নের মত৷ এই মহাদেশে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আর সেটা আমার দেশে৷ এখানে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে আমি খুবই আনন্দিত৷''

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাও আশা করছেন ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ধরে রাখার৷ জাতীয় দলের প্রশিক্ষক কার্লোস পেরেইরা'র লক্ষ্যও মাত্র একটি - তা হলো বিশ্বকাপ জেতা৷ বলা প্রয়োজন, ১৯৯৪ সালে ব্রাজিল যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখন ব্রাজিল দলের কোচও ছিলেন পেরেইরা৷

কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা কি সত্যিই বিশ্বকাপ জিততে পারবে ? দলের ক্যাপ্টেন মোকোয়না অবশ্য খুবই আশাবাদী ৷ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘আমাদের খুবই ভালভাবে খেলতে হবে৷ স্বাগতিক দেশ হিসেবে আমরা চমক দেখাবো – সেই আশাই করছি৷ কারণ এপর্যন্ত প্রতিটি বিশ্বকাপে, প্রতিটি স্বাগতিক দেশই বেশ ভাল খেলেছে৷''

১১ই জুন অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী খেলা৷ খেলবে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মেক্সিকো৷ যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে, তাহলে ‘বাফানা বাফানা’র ক্যাপ্টেন অ্যারোন মোকোয়নার স্বপ্ন আংশিক হলেও সত্যি হবে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদন: দেবারতি গুহ