বারাণসীর সনাতনী ঘাটের কথা
বারাণসী অথবা বেনারস, হিন্দুদের পবিত্র শহর৷ পৌরাণিক বিচারে গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু নগর জীবনযাপনের ছবিতেও বারাণসী বৈচিত্র্যময়৷ গঙ্গার ধারে ধারে অজস্র ঘাটে ছড়িয়ে যার নমুনা৷
ভোর ভৈঁয়ো
একদা বারাণসীর ঘুম ভাঙত প্রবাদপ্রতিম শেহনাই শিল্পী উস্তাদ বিসমিল্লা খানের রেওয়াজের শব্দে৷ তিনি আমৃত্যু এই শহরের বাসিন্দা ছিলেন৷
পুণ্যস্নান
গঙ্গা নদী নাকি পতিতোদ্ধারিনী৷ তার জলে ডুব দিলে সব পাপ স্খলন হয়৷ তাই গঙ্গায় পুণ্যস্নানের জন্য হুড়োহুড়ি সব ঘাটেই৷
অক্ষয় স্বর্গবাস
মনিকর্ণিকা ঘাট৷ গঙ্গার ধারের এই শ্মশানে শেষকৃত্য হলে নাকি অক্ষয় স্বর্গবাস, এমনই বিশ্বাস হিন্দুদের৷
বেনারসি বজরা
বজরার জন্যেও বিখ্যাত বারাণসী৷ বিত্তবানদের জলযান৷ এখন যদিও বেশিরভাগই পর্যটকদের খাতিরে সচল আছে৷
ধোবিঘাট
বারাণসীর এক একটা ঘাট এক এক কাজে ব্যবহার হয়৷ যেমন ধোবিঘাট৷ কেন এই নামকরণ, ছবিতেই প্রমাণ৷
প্রাত্যহিকী
নিত্যস্নান থেকে ক্ষৌরকাজ, স্থানীয় মানুষ গঙ্গার ঘাটেই আসেন নিত্য প্রয়োজনে৷ পাপ-পুণ্যের কোনো সম্পর্ক এর সঙ্গে নেই৷
দিবানিদ্রা
ঘাটের পান্ডা, যারা নানাবিধ ধর্মীয় আচার-আচরণ করান যজমানদের, তাদের সারাদিন কাটে ঘাটেই৷
ভেকধারী
ভেক না ধরলে ভিখ মেলে না৷ তাই সাধু না হয়েও নিজেকে সেইভাবে দেখানোর চেষ্টা থাকে পান্ডাদের৷
ঘাটের পশরা
নানা কিছু পাওয়া যায় বারাণসীর ঘাটে৷ তার মধ্যে আছে দস্তার ঝুটো গয়না, যা পর্যটকদের, বিশেষত বিদেশি পর্যটকদের নজর কাড়ে৷
সহাবস্থান
সিদ্ধিদাতা গনেশ থেকে সিরধির সাঁইবাবা, বুদ্ধ, হনুমান, কৃষ্ণ, কালী, সব পাশাপাশি৷ কোনো ধর্মীয় বিরোধ নেই৷
সুখাদ্য তীর্থ
বারাণসী মানে শুধু ধর্ম নয়, পেটপুজো৷ বিখ্যাত কাশীর প্যাঁড়া, রাবড়ি আর কচুরি-জিলিপি
খণ্ডচিত্র
কয়েক লক্ষ ছবি হয় বারাণসীর গঙ্গার ঘাটের৷ তাও সেসব থেকে যায় নেহাতই খণ্ডচিত্র হয়ে৷ অনন্ত, অপার জীবনের এক সামান্য অংশ৷