বার্লিনের সেরা ১০ স্থাপনা

১৯৬৯ সালের ৩ অক্টোবর আলেকজান্ডাররপ্লাৎসে এক হাজার ২০৭ ফুট উচ্চতার এই টাওয়ারটি বসানো হয়৷ এটি অনেক দূর থেকেও দেখা যায় বলে টাওয়ারটি শহরের অন্যতম জনপ্রিয় প্রতীক৷ প্রতি বছর এক মিলিয়ন দর্শনার্থী এই টাওয়ারটি দেখতে আসেন৷

১৭৯১ সালে গেটটি উদ্বোধন করা হয়৷ বিশেষভাবে তৈরি এই তোরণটি বার্লিনের বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক৷ ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর বার্লিন প্রাচীর ভাঙার পর সেই প্রাচীর ঘিরে থাকা গেটটি দেখা যায়৷ এখন এটি জার্মানির ঐক্যের প্রতীক৷

চমৎকার এ ভবনটি বার্লিনের কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে আছে৷ জার্মান সম্রাটের শাসনামলে সংসদ সদস্যরা এখানে মিলিত হতেন৷ সাড়ে ৭৫ ফুট উচ্চতার কাচের গম্বুজটি পর্যটকদের বেশ আকর্ষণ করে৷

৯৮ মিটার উঁচুর বার্লিন ক্যাথেড্রালের মূল গম্বুজটি রাজধানীর উচ্চতম৷ এটি বার্লিনের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোকে দেখতে সহায়তা করে, এজন্য আপনাকে ২৭০ ধাপ আরোহণ করতে হবে৷

এখানে এক সময় সোভিয়েট এবংঅ্যামেরিকান ট্যাঙ্কগুলো মুখোমুখি হয়েছিল৷ পর্যটকরা এখানে নামমাত্র ফি দিয়ে ছবি তুলতে পারেন৷

বার্লিন প্রাচীরের পতনের পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা বার্লিনে এসে স্প্রি নদীর তীরে প্রাচীরের এক দশমিক তিন কিলোমিটার অংশে ছবি এঁকেছিলেন৷ এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীর দীর্ঘতম ওপেন এয়ার গ্যালারি তৈরি হয়৷

টিয়ারগার্টেনের মাঝামাঝি ৬০ মিটার উচ্চতার কলামটি দাঁড়িয়ে আছে৷ এটি ৬০টি কামান দিয়ে সজ্জিত ছিল, যা ১৮৬৪ থেকে ১৮৭৪ সাল পর্যন্ত চলা জার্মান একীভূতকরণের যুদ্ধের সময় নেওয়া হয়েছিল৷ এর শীর্ষে রয়েছে বিজয়ের দেবী ভিক্টোরিয়া, যিনি ‘গোল্ডেলসে’  নামে পরিচিত৷

পুরোনো চার্চ টাওয়ারটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধ্বংসের স্মারক হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে৷ নতুন টাওয়ারটি পুনর্গঠনের প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়৷

ওরানিয়েনবুর্গার স্ট্রাসে নিউ সিনাগগ ১৮৬৬ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি পুড়ে যায়৷ পুনর্নির্মিত এই স্থাপনাটি ১৯৯৫ সালে ফের প্রতিষ্ঠা করা হয়৷

দুই ভদ্রলোক সম্ভবত বার্লিনের নবীনতম নিদর্শন৷ অ্যামেরিকান ভাস্কর জোনাথন বোরোফস্কির ১৯৯৯ সালে ৩০ মিটার উঁচু এই ভাস্কর্যটি পুনর্মিলিত শহরের প্রতীক হিসাবে ক্রয়েসবার্গের ফ্রিড্রিশহাইন এবং ট্রেপ্টো জেলার স্প্রি নদীর মধ্যে স্থাপন করেন৷