1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে ছাত্রছাত্রীদের ‘যৌথবাস’ বাড়ছে

১৮ অক্টোবর ২০১০

বিভিন্ন শহর কিংবা দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে বার্লিনে৷ জামার্নির রাজধানী এই শহরে এসেই তাঁদের প্রথম যে অভিজ্ঞতা হয় তা হলো থাকার জায়গা খোঁজা৷ থাকার জায়গা খৌঁজ করতে গিয়েই তারা পরিচিত হয় কমিউনাল লিভিং এর সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/PgPd
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/beyond/Sonntag

এ হল এক সঙ্গে মিলে বেশ কয়েকজন থাকা৷ জার্মান ভাষায় এ হল ভোনগেমাইনশাফট - সংক্ষেপে ভেগে৷ সাধারণত দু'জন থেকে দশ জন বা তারও বেশি বাসিন্দা থাকে এরকম একটি কমিউনে৷ শুধু মাথাগোঁজার ঠাঁই নয়, নতুন নতুন মানুষজনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ারও ভালো মাধ্যম এই কমিউনাল লিভিং৷ কেননা যত বেশি লোকজন থাকে ততবেশি মানুষজনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে৷ আর খরচের কথা চিন্তা করলে থাকার জন্য এই শহরে এর চেয়ে আর ভালো উপায় নেই৷

গ্যারহার্ড শ্নাইবেল বার্লিনের একটি ভেগে'র বাসিন্দা৷ যিনি বার্লিনে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন৷ বলছেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এই সমাজে নিজেকে একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এরকম যৌথবাস ছাড়া আর কোনো উপায় নেই৷ এটি আমার জীবনে নতুন এই চলার পথকে সুগম করেছে৷ সে কারণে আমি আরও বেশি রোমাঞ্চের জন্য পাংকো এলকায় আমার আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে ব্যাগ গুছিয়ে প্রেন্সলাউয়ারব্যার্গ এলাকায় চলে এসেছি৷

যে-বাড়িতে এই ভেগে তার নানা জায়গায় গ্রাফিতি আঁকা৷ বেশ কিছু মেরামতও করতে হবে৷ ঘরখানা বেশ ওপরে ৷ অনেকগুলো সিঁড়ি ভাঙতে হবে৷ ঘরে আছে কয়লার স্টোভ আর গ্যাসের হিটার৷ ফলে গ্যারহার্ড'এর সামনে রয়েছে কড়া শীত৷ তবুও তাঁর অসুবিধা হবেনা বলে তিনি মনে করেন৷ কেননা একসঙ্গে থাকার ধারণাটাই তাঁকে খুব আকর্ষণ করে৷ আর এই ধারণাটা নিখুঁত রূপ পেয়েছে মহানগরী বার্লিনে৷ এ ধরণের ভেগে ব্যবস্থা জার্মানির অন্যান্য শহরেও আছে৷

তিনি বলেছেন, এক ছাদের নিচে বিভিন্ন মনমানসিকতার মানুষ একসঙ্গে থাকতে গেলে যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হলো নমনীয়তা৷ তা না হলে মানুষের যা স্বভাব, ছোটোখাটো দ্বন্দ্বই বড় আকার ধারণ করতে পারে এবং তাদেরকে ঘর থেকে রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে৷ এই ধরণের পরিবেশে সবচেয়ে বেশি কাজে আসে মানুষের নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা৷

আবার ভেগে অনেকসময় ঝুঁকিরও কারণ হতে পারে৷ কোনো রুমমেট এখানে এসে হয়ত এমন বান্ধবী খুঁজে পেতে পারে যে, মানসিকভাবে অসুস্থ৷ আবার এখানে এমন কেউও থাকতে পারে যে রান্নায় বড্ড বেশি মশলা ব্যবহার করে৷ আর একজনকে হয়ত দেখা যাবে ঘরের ভিতরে জোরে জোরে ড্রাম পেটাচ্ছে৷ কিন্তু যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই, সেখানে অর্জন করারও কিছু নেই, ভেগেবাসী গ্যারহার্ড শ্নাইবেল৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক