1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিন হত্যাকাণ্ডের জেরে রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার

৪ ডিসেম্বর ২০১৯

জার্মানিতে জেলিমখান খানগশভিলি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্তে রাশিয়া ‘যথেষ্ট সহযোগিতা' না করায় বার্লিন তাদের দুই কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে৷

https://p.dw.com/p/3UE5N
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Soeder

বার্লিনে খুন হওয়া জর্জিয়ার নাগরিককে রাশিয়া বা চেচনিয়ার নির্দেশে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এমন তথ্য পাওয়ার পর দুই রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে জার্মানি৷

রাশিয়া এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ‘যথেষ্ট সহযোগিতা করেনি’ জানিয়ে বুধবার জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়৷ তবে বহিষ্কৃত দুজন দূতাবাসের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা তা জানানো হয়নি৷

জার্মানির ফেডারেল তদন্ত কর্মকর্তারা ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন৷

বার্লিনের অ্যাটর্নি জেনারেলও এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় রাশিয়ারসংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানান৷

খুন হওয়া ওই জর্জিয়ান ২০১৬ সালে জার্মানিতে আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন৷ আবেদনে তিনি বলেছিলেন, জর্জিয়ায় তাকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল৷

যদিও তার আবেদন বাতিল হয়ে যায় এবং তাকে বিতাড়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল৷

চেচেন বংশোদ্ভূত জেলিমখান খানগশভিলিকে আগস্টের শেষ দিকে বার্লিনে দিনেদুপুরে মাথায় ও বুকে গুলি করা হয়৷

সন্দহভাজন হামলাকারী ৪৯ বছরের একজন রুশ নাগরিক৷

শুরু থেকেই এই হত্যাকাণ্ডে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, যদিও মস্কো বরাবরই তা অস্বীকার করেছে৷

১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলা দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধের সময় খানগশভিলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন৷

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও তিনি ইউক্রেন ও জর্জিয়ায় রাশিয়ার স্বার্থবিরোধী কাজ করছিলেন বলে শোনা যায়৷ তার নাম রাশিয়ার ‘জঙ্গি তালিকায়' ছিল৷

খানগশিভিলর সাবেক স্ত্রী মানানা সাতিয়েভা ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘আমরা আগেই বলেছিলাম তাকে খুন করার চেষ্টা হবেই৷''

এ হত্যাকাণ্ড বার্লিন ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে৷

এসএনএস/এসিবি (ডিপিএ, এপি, রয়টার্স, এএফপি)