1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাল্য বিয়েতে জনপ্রতিনিধির শাস্তি?

৩০ অক্টোবর ২০১৭

বাল্যবিয়ের সাথে সংশ্লিষ্টদেরই কেবল নয়, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পদচ্যুতির আদেশ কেন দেওয়া হবে না, এ মর্মে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত৷

https://p.dw.com/p/2mkvQ
Bangladesch Kinderheirat
ছবি: Getty Images/A. Joyce

ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বাররা এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনাররা কেন নিজ নিজ এলাকায় বাল্য বিবাহের জন্য দায়ী থাকবেন না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে৷ বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল দেন৷ বাল্যবিয়ে বন্ধে কার্যকর ভূমিকায় প্রশাসন খুব বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারছে না বিবেচনা করে আদালত এ রুল জারি করেছেন বলে জানানো হয়৷

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭' পাস হবার পর এ আইনের ১৯ ধারায় বিশেষ পরিস্থিতিতে বাল্য বিয়েকে বৈধতা দেয়া হয়েছে৷ এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সালমা আলী৷ হাইকোর্টের এ রুলকে স্বাগত জানিয়ে সালমা আলী বলেন, ‘‘বাল্যবিয়ে বন্ধে সব স্তর থেকে জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন৷ প্রত্যেকটা সেক্টর থেকে যদি জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনা যায়, তাহলে  বাল্যবিয়ে অনেকটাই কমে আসবে৷''

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে হবে৷ এ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, আদালত আগামী ৩ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ রেখেছে৷

Bangladesch Kinderheirat
ছবি: Getty Images/A. Joyce

দৈনিক প্রথম আলোতে গত ২৮ অক্টোবর ‘২৪ ঘণ্টায় আট বাল্যবিবাহ বন্ধ' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করে হাই কোর্ট৷ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ অক্টোবর বিকেল থেকে ২৭ অক্টোবর বিকেল পর্যন্ত নাটোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ঢাকার সাভারে আট কিশোরী বাল্যবিয়ে থেকে রেহাই পায় স্থানীয় প্রশাসনের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতায়৷

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে  জাতীয় সংসদে পাশ হয় ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭'৷ নতুন আইনেবাল্যবিয়ে হলে শাস্তির আওতায় কারা আসবে, তার পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে৷ শুধু অপ্রাপ্তবয়স্ক বর, কনে বা তাদের পরিবার না, যাঁরা বিয়ে পরিচালনা করেন এবং বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন, তাঁদেরও শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে৷ তবে, এ আইনের ১৯ ধারায় বলা হয়েছে, বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিয়ে দেয়া হলে তা এই আইনের অধীনে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না৷ আইনটির সমালোচনায় এই বিশেষ ধারার অপব্যবহারের সুযোগ আছে উল্লেখ করে নারী অধিকার সুরক্ষায় এর বিরোধিতা করে আসছেন মানবাধিকার কর্মীরা৷

ইউনিসেফের তথ্যমতে, যে দেশগুলোতে বাল্যবিয়ে বেশি, বাংলাদেশ এর মধ্যে অন্যতম৷ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম সাত মাসেই বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ১১৬টি৷

আরএন/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য