1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাসার মধ্যেই যখন স্বপ্নের জগত

২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ফ্রান্সের লিয়ঁ শহরের মাঝে এক দম্পতি নিজেদের বাড়িটিকে স্বপ্নের মতো সাজিয়েছেন৷ নিজেদের তৈরি অভিনব ওয়ালপেপার প্রতিটি ঘরকে ভিন্ন চরিত্র দিয়েছে৷ অতীত ও বর্তমানের মেলবন্ধন ঘটিয়ে তাঁরা পরিবর্তনের উদ্যোগে সাহস জোগাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3AffL
Euromaxx Ambiente Lyon 14.11.2018
ছবি: DW

লিয়ঁ শহরের পুরানো অংশে ঐতিহ্যের যথেষ্ট ছাপ রয়েছে৷ তবে একটু ঘুমন্তও মনে হয়৷ বেশ কয়েক দশক ধরে সেখানে বেশিরভাগ বাড়ি খালি পড়ে রয়েছে৷ এই প্রাচীরের পেছনে পাট্রিক শাভানের বাসা লুকিয়ে রয়েছে৷ ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাড়িটি শিল্পীর স্টুডিও ছিল৷ এখনোসেখানে অনেক ছোট শিল্পের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে৷ পাট্রিক বলেন, ‘‘সাজানোর উপকরণ সবই আমাদের নিজেদের তৈরি৷ এখানে আমরা গাছের আদলে অবয়ব বানিয়ে দেওয়ালে জঙ্গল সৃষ্টি করেছি৷ ওয়ালপেপারের উপর ওয়ালপেপার বসিয়ে ঘরের মধ্যে বিশেষ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে৷ আমরাই এগুলি ডিজাইন ও উৎপাদন করেছি৷''

বসার ঘরের মূলমন্ত্রই হলো জঙ্গলের মধ্যে থাকার অনুভূতি৷ চারিদিকে গাছপালার মোটিফ ও সবুজের ছড়াছড়ি৷ দেওয়াল থেকেই সব কিছুর সূচনা৷ স্ত্রী লোরঁস-এর সঙ্গে পাট্রিক যে ওয়ালপেপার তৈরি করেন, তা মোটেই প্রথাগত শৈলির নয়৷ পাট্রিক শাভান বলেন, ‘‘কারখানায় একই রকম ডিজাইন কাজে লাগিয়ে বড় আকারে ওয়ালপেপার উৎপাদন করা হয়৷ ঊনবিংশ শতাব্দীতে অত্যন্ত জনপ্রিয় দেওয়ালের প্যানোরামা চিত্রের ঐতিহ্য অনুযায়ী আমরা ওয়ালপেপার তৈরি করার চেষ্টা করি৷ সেগুলিতে সম্পূর্ণ একটা দৃশ্য দেখা যেতো এবং হাতে করে খোদাই করা হতো৷ এক কম্পিউটার সফটওয়্যারের সাহায্যে আমরা একঘেয়ে ডিজাইন এড়িয়ে যেতে পারি৷ প্রত্যেকটি জায়গার নিজস্ব কাহিনি শোনানো উচিত৷''

ওয়াল পেপার দিয়ে স্বপ্নের জগত

পাট্রিক শাভান নিজের বাড়িতেই নতুন আইডিয়া পরীক্ষা করে দেখেন৷ ২০ বছর ধরে তিনি সেখানে বসবাস করছেন এবং নিত্যনতুন আইডিয়া কার্যকর করছেন৷ ১৫০ বর্গ মিটার বিস্তৃত গোটা বাড়ির প্রতিটি ঘরের নিজস্ব এক থিম বা বিষয় রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘এই ঘরের বিষয় ভারতের পন্ডিচেরি শহর৷ আমরা ভারতে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনকাল থেকে প্রেরণা নিয়েছি৷ তাই রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ময়ূর শোভা পাচ্ছে৷''

বাড়ির পিছনের বাগান থেকে আসল প্রকৃতি ও লিয়ঁ শহরের দৃশ্য দেখা যায়৷ বছরের যে কোনো সময় পাট্রিক ও তাঁর কুকুর বুলি এখানে সময় কাটাতে পছন্দ করে৷ শহরে থাকলেও তাঁর মনে হয় তিনি যেন গ্রামে রয়েছেন৷

চারিদিকে কৌতুকের ছোঁয়া, একেবারেই ক্লান্তিকর নয়৷ পাট্রিক শাভান নিজের চার দেওয়ালের মাঝে যা খুশি করতে পারেন৷ কারো কাছে বিষয়টি বাড়াবাড়ি মনে হলেও এটাই তাঁর বাড়ির আকর্ষণ৷ তিনি বলেন, ‘‘একটি বাড়িকে জীবন্ত থাকতে হয়৷ আমার বিশ্বাস, বাড়ি হলো তার বাসিন্দাদের ব্যক্তিত্বের বহির্প্রকাশ৷ এই বাড়ি আমাদের বাঁচার আনন্দের প্রতিফলন ঘটায়৷ মানুষ হিসেবে আমরা অতিথিদের স্বাগত জানাতে চাই৷ আশা করি আমাদের ঘর সাজানো দেখে তা অনুভব করা যায়৷''

এখানে থাকার অর্থ স্বপ্নের জগতে পাড়ি দেওয়ার মতো৷ পাট্রিক শাভানের বাড়ি শহরের মাঝে অভিনব এক মরুদ্যানের মতো, যা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সাহস জোগায়৷

গ্যোনা কেটেল্স/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য