1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাড়ি ফিরেছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ছেলেশিশু

২২ এপ্রিল ২০১৯

মাত্র ২৫৮ গ্রাম ওজন নিয়ে জাপানে জন্ম নিয়েছিল শিশু রিইউসকে সেকিয়া৷ প্রায় সাড়ে ৬ মাস হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরছে পৃথিবীর সবচেয় কম ওজনের এই ছেলেশিশু৷

https://p.dw.com/p/3HCv7
Japan | "Leichtestes Baby der Welt" darf nach Hause
ছবি: picture-alliance/AP Photo

শনিবার নাগানো চিলড্রেন'স হসপিটাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে জাপান টাইমস৷

গত অক্টোবর মাসের ১ তারিখে ওই হাসপাতালেই জন্মগ্রহণ করে শিশু রিইউসকে৷  মায়ের গর্ভে মাত্র ২৪ সপ্তাহ ও ৫ দিন থাকার পর জরুরি সিজারিয়ানে তার জন্ম হয়৷ হাইপার-টেনশনে ভুগছিলেন তার মা তোসিকো সেকিনো৷

জন্মের পর রিইউসকে-এর উচ্চতা ছিল মাত্র ২২ সেন্টিমিটার (৮.৮৮ ইঞ্চি)৷ এরপর থেকে তাকে নবজাতকদের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল৷

প্রথম দিকে তাকে টিউব দিয়ে এবং তুলায় মায়ের দুধ নিয়ে চিপে খাওয়ানো হয়৷ প্রায় সাত মাসের মাথায় এখন সে নিজেই মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছে৷ ১৩ গুণ বেড়ে এখন প্রায় তিন কেজির মতো দাঁড়িয়েছে রিইউসকে-এর ওজন৷

শিশুটির মা তোসিকো সেকিনো সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যখন সে জন্ম নেয়, তখন মনে হয়েছিল একটু ছোয়া লাগলেই সে ভেঙে যাবে৷ আমি তখন বেশ দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম৷ এখন সে দুধপান করছে৷ আমরা তাকে স্নানও করাতে পারি৷ আমি এই ভেবে খুশি, তাকে বড় হতে দেখতে পারব৷'' 

রিইউসকে-এর আগে সবচেয়ে কম ওজনের ছেলেশিশুর রেকর্ডধারীর ওজন ছিল ২৬৮ গ্রাম৷ গত বছর জাপানেই জন্ম নেওয়া ওই শিশু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় গত ফেব্রুয়ারিতে৷

রিইউসকের চিকিৎসক তাকেহিমো হিরোমা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রথম দিকে তার চিকিৎসা করাই ছিল মুশকিলের৷ কারণ, তার রক্তনালী এতই সরু ছিল যে, সেখানে ইনজেকশন বা স্যালাইন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না৷''

বেঁচে থাকা সবচেয়ে কম ওজনের শিশুটি একটি মেয়েশিশু৷ মাত্র ২৫২ গ্রাম ওজন নিয়ে ২০১৫ সালে জার্মানিতে সে জন্মগ্রহণ করেছিল বলে ইউনিভার্সিটি অব আইওয়া'র তথ্য৷

এদিকে, কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া ছেলেশিশুদের তুলনায় মেয়েশিশুদের বেঁচে থাকার হার বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা৷

এমবি/এসিবি (এএফপি, এপি, জাপান টাইমস)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান