1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাড়ি ভেঙেছে, কেউ দেখতেও আসেনি’

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৫ জুন ২০২০

করোনা লক ডাউনের সময় সরকারি ত্রাণ বিলি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল৷ ঘূর্নিঝড় আমফানের তাণ্ডবের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন, সরকারের হাত দিয়েই ত্রাণ যাবে৷

https://p.dw.com/p/3dJqW
রকারি ত্রাণ বিলি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ
ছবি: DW/S. Bandopadhyay

কিন্তু সরকারকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দেবে কারা?‌ মানুষের দুর্দশার খবর নেবে কারা? ‌প্রশাসন কতটা উদ্যোগী হয়েছে কার ক্ষেতের ফসল নষ্ট হলো, আর কার বাড়ির চাল উড়ে গেল, সেই খবর জোগাড়ে?‌ যে দক্ষিণ ২৪ পরগণা আমফান তছনছ করে দিয়ে গেছে, সেখানে কতটা পৌঁছাচ্ছে ত্রাণ?‌ আমফান দুর্গতদের সাহায্যের জন্য সক্রিয় হয়েছে বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক কিছু জোট, মূলত নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা, যাঁরা কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছেন অভুক্ত মানুষকে খাওয়াতে, তাঁদের হাতে স্যানিটাইজার, মাস্ক, পুরনো কিন্তু ব্যবহারযোগ্য জামাকাপড় তুলে দিচ্ছেন৷ এই স্বেচ্ছাসেবী দলের অন্যতম সদস্য রুদ্রপ্রসাদ ঘোষ জানাচ্ছেন, সরকার যে সাহায্য করবে বলছে, সেই সাহায্য পেতে কিভাবে আবেদন করতে হবে, সেটাই অনেকে জানেন না৷

রুদ্রপ্রসাদ ঘোষ

সুন্দ্রা গ্রামে গত তিন-চারদিন ধরে ত্রাণ বিলি করেছেন ওঁরা৷ রুদ্র জানালেন, ‘‘‌আমি সুন্দ্রার কিছু মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেছি৷ সুন্দ্রা তো আদিবাসী এলাকা পুরো৷ আমি সেখানে কিছু মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেছি৷ এবং তার ভিডিও রেকর্ডগুলোও আছে৷ বেসিক্যালি যেটা দেওয়া হচ্ছে, এই বাড়ি ভাঙার জন্যে ২০ হাজার টাকা বা চাষের জমির (‌ক্ষতির) ‌জন্য একটা অ্যামাউন্ট দেওয়া হচ্ছে— ওরা কেউ বাড়ি ভাঙার জন্য কোনো টাকা পায়নি, এবং ওদের ওখানে কেউ যায়ওনি৷ মানে যে ছবি-টবিগুলো তোলা হচ্ছে, আমি অন্য পঞ্চায়েতগুলোয় দেখেছি, ওখানে সেভাবে কেউ যায়ওনি৷ কীভাবে এই টাকাগুলো ওরা পেতে পারে, কীভাবে ওরা অ্যাপ্লাই করবে— কোনও কিছু নিয়েই ওরা কিছু জানে না৷ এবং টাকাগুলো ওরা পায়ওনি৷ আমরা কোনো পলিটিকাল কাউকে জানাইনি ব্যাপারগুলো৷ আমরা একেবারেই লোকাল পরিচিতি মারফৎ পৌঁছেছি৷ কিন্তু আমরা কোনো রাজনৈতিক লোকজনকে জানাইনি, বা কেউ এসে আমাদের কিছু বলেওনি৷’’

কিন্তু রাজনৈতিক দলের লোকেরা কি দলগতভাবে, অথবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিলি করছেন? ‌রুদ্র জানাচ্ছেন, ‘‘‌সুন্দ্রাতে আমরা যেহেতু শেষ তিন-চারদিন পড়ে ছিলাম, ওটা আশাড়ু গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্ডারে, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতি৷ ওখানে আমরা কোনো পলিটিকাল লিডারকে দেখিনি৷ ওদের কথাও তাই, এই যে ২০ হাজার টাকা যেভাবে ক্লেইম করা যায়, ওদেরকে কেউ কিছু জানায়ওনি৷ ত্রিপল নিয়ে ওদের একটা গন্ডগোল আছে৷ যেখানে গ্রামে প্রায় ৬০-৭০টা ত্রিপল প্রয়োজন, সেখানে ওদের ২০টা ত্রিপল দিয়েছে৷’’

এবং মানুষ ক্ষুব্ধ৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে পরিস্থিতি দেখে চলে গেলেন, ত্রাণসাহায্য ঘোষণা হলো, কিন্তু ওদের যে বাড়ি ভেঙেছে, সেটা দেখতে পর্যন্ত কেউ আসেনি!‌

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান