1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিক্ষোভের মুখে চীনে শুরু হলো ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস

৫ মার্চ ২০১১

আরব জগতে জনরোষের আঁচ উদ্বুদ্ধ করছে চীনের মানুষকেও৷ এই অবস্থায় বহু ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার কথা খোলাখুলিভাবে মেনে নিলেন প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও৷

https://p.dw.com/p/10TzK
ওয়েন জিয়াবাও’এর স্বীকারোক্তি ও অঙ্গীকার কি জনরোষ কমাতে পারবে?ছবি: AP

শুধু লিবিয়া সহ আরব জগত নয়, স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনরোষ বেড়ে চলছে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও৷ খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সেই রোষে বাড়তি ইন্ধন জোগাচ্ছে৷ এমনই এক প্রেক্ষাপটে শনিবার চীনের রাজধানী বেইজিং'এ শুরু হয়েছে ‘ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস'এর ১০ দিনের বাৎসরিক অধিবেশন৷ প্রায় ৩,০০০ ডেলিগেট এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন৷ সম্প্রতি চীনে সরকার বিরোধী যেসব বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে, তার ফলে চীনের নেতৃত্ব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন৷ পুলিশ বিক্ষোভের আঁচ পেলেই কড়া হাতে তা দমন করছে বটে, কিন্তু কোনো একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ ‘পিপলস কংগ্রেস' উপলক্ষ্যে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ বিদেশি সাংবাদিকদের কার্যকলাপের উপর নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়ানো হয়েছে৷

China Proteste Polizei
চীনা বিচ্ছিন্ন বিক্ষোভের ঘটনা বেড়ে চলেছেছবি: dapd

এই অবস্থায় শাসক কমিউনিস্ট পার্টির বাৎসরিক অধিবেশনে নেতারা মানুষের ক্ষোভের অন্যতম কিছু কারণ দূর করতে চাইছেন৷ চীনের বিপুল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল ভোগ করছে মূলত শহরাঞ্চলের একাংশ মানুষ৷ গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানের তেমন উন্নতি হচ্ছে না৷ প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও শনিবার তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে খোলাখুলি মেনে নিয়েছেন, যে দেশের উন্নতির মধ্যে ভারসাম্য ও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে এবং তা টেকসই হয়ে ওঠে নি৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, দুর্নীতির মতো সমস্যার কথাও তিনি মেনে নিয়েছেন৷ এই সব সমস্যার সমাধান করতে তিনি আগামী পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ঘোষণা করেছেন, যার আওতায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রবণতা বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ও সামাজিক স্থিতিশীলতারও উল্লেখ করা হয়েছে৷ খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতার মোকাবিলা করাই সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ শুধু রপ্তানির উপর নির্ভর না করে দেশের মধ্যে চাহিদা বাড়ানো এবং কৃষিক্ষেত্রের বিকাশের জন্য আরও সরকারি সাহায্য বাড়ানোরও অঙ্গীকার করেছেন ওয়েন জিয়াবাও৷ একদিকে জ্বালানির ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও পারদর্শিতা বাড়ানো, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ কমানোর প্রচেষ্টাও চালাবে সরকার৷

শাসক কমিউনিস্ট পার্টির এই অঙ্গীকার মানুষের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করছে, তা বোঝা কঠিন৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে আরব জগতের ধাঁচে সরকার বিরোধী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক বেড়ে চলেছে৷ শনিবারই পুলিশ তিয়ানানমেন স্ক্যোয়ারে কমপক্ষে ৪ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন৷ এমনকি একজনের হাতে ‘কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতা ছাড়ো' লেখা প্ল্যাকার্ডও নাকি দেখা গেছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই