1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে ব্যর্থ সরকার’

৮ জানুয়ারি ২০১১

বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার তার অঙ্গীকার সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে বলে মত দিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অধিকার৷ শনিবার জাতীয় প্রেসকাবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে উপস্থাপিত ‘মানবাধিকার প্রতিবেদন ২০১০’-এ এ কথা বলা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/zv5E

অধিকারের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন বলা হয়, ২০০৯ সালে ‘ইউনিভার্সাল পেরিওডিক রিভিও' এর শুনানিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জিরো টলারেন্স দেখানোর কথা বললেও সরকার এ অঙ্গীকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে৷

২০১০ সালে ১২৭ জন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন৷ একই সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকাবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১০ জন৷ আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হয়েছেন ১৬ জন৷ অধিকার-এর দাবি অনুযায়ী, প্রতি ৩ দিনে গড়ে ১ জন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন৷

অধিকারের মহাসচিব আদিলুর রহমান খান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন৷ এসময় অধিকারের উপদেষ্টা ফরহাদ মজহার, প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ড. সিআর আবরার, কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, আসিফা আশরাফি পাপিয়া, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷

প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে মানবাধিকারের বিষয়ে আদালতের ভূমিকা উল্লেখ করে কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, উচ্চ আদালতের বিচারকরা অনেক সময় রাজনৈতিক বক্তৃতাও দিচ্ছেন৷ এ নিয়ে কথা বললে আদালত অবমাননা হয়৷ রিপোর্টে বলা হয়, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও ২০১০ সাল জুড়েই তা অব্যাহত ছিল৷ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন ভঙ্গ করে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, বামপন্থী এবং নিরীহ ব্যক্তিদেরকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে৷ মানবাধিকার নিয়ে রাজনীতি না করে সমাজের সব স্তরে মানবাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী৷

অধিকার-এর তথ্যানুযায়ী বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ১২৭ জনের মধ্যে তথাকথিত 'ক্রসফায়ার'-এ ১০১ জন, নির্যাতনে ২২ জন, গুলিতে ২ জন এবং ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷ বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে আটক ১৫ জন বিডিআর সদস্য জেল ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে মারা গেছেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম