1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজেপির উত্থানে ‘বাংলাদেশিদের’ ভূমিকা!

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত
১৭ মে ২০১৮

যদিও বিজয়ী এবং প্রধান ক্ষমতাশালী দল তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বিরাট ব্যবধান, কিন্তু বিজেপিই এখন পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় রাজনৈতিক শক্তি৷ মমতা ব্যানার্জি বলছেন, রাজ্যের সীমান্ত জেলাগুলিতে বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করিয়েছে বিজেপি৷

https://p.dw.com/p/2xtzj
Screenshot Youtube Wahlen in Westbengalen
ছবি: Youtube/ABP ANANDA

পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের ব্যালট গণনা শুরু হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকে, চলবে সম্ভবত সারা রাত৷ কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ, তিন স্তরেই যে তৃণমূল কংগ্রেস এখনও প্রধান এবং কার্যত অপ্রতিরোধ্য রাজনৈতিক শক্তি, তা নিয়ে এখন কোনও সংশয় নেই৷ কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত পর্যায়ে দ্বিতীয় প্রধান শক্তি হিসেবে উত্থান ঘটলো বিজেপির৷ জাতীয় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মালদা এবং মুর্শিদাবাদ বাদ দিলে রাজ্যের সব জেলাতেই বিজেপির জোর বেড়েছে৷ এবং এতদিন ধরে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি যে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন যে, হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া হয়েছে বামপন্থিদের, ভোটের হিসেবে যেন তারই লক্ষণ৷ বামেদের ভোট বদলে গেছে বিজেপি ভোটে৷ পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরে গেরুয়া উত্থান রীতিমতো স্পষ্ট৷

এ কারণে এদিন সন্ধেয় রাজ্য সচিবালয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ তুললেন, বিশেষত রাজ্যের সীমান্ত জেলাগুলিতে বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করিয়েছে বিজেপি, সফল না হতে পারলে বাগড়া দিয়েছে৷ এবং ভোটের দিন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে অভিযোগ এনেছিলেন, যে বনগাঁ সীমান্তের কিছু এলাকায় বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতিদের এনে অশান্তি বাধিয়েছে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রীও ঠিক একই কথা বললেন৷

মমতা

সেই সঙ্গে সরাসরি এমন অভিযোগও করলেন যে, সীমান্ত পেরিয়ে ওই দুষ্কৃতিদের দেশে আনার কাজে বিজেপিকে সাহায্য করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী৷ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়-দায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনের৷ সেখানে শৃঙ্খলা রক্ষার অজুহাত দিয়ে, রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়েই কেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী তৎপর হলো৷ বলা বাহুল্য, মমতার অভিযোগের আঙুল কেন্দ্র সরকারের দিকে৷

এদিকে কেন্দ্র সরকারও পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আদৌ খুশি নয়৷ দু' দফায় তারা রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের থেকে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রক রীতিমতো ক্ষুব্ধ৷ তার ওপর বৃহস্পতিবার গণনার দিনও একাধিক কেন্দ্রে দুষ্কৃতি হামলা হয়েছে৷ ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়েছে, এমনকি ছাপ মারা ব্যালট টেনে নিয়ে ফের ছাপ মারতে গেছে দুষ্কৃতিরা৷ যদিও কোনও ঘটনাই খুব বড় আকার নেয়নি৷ রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কারের মধ্যে আরও একটি উল্লেখযোগ্য খবর, উত্তর ২৪ পরগণার ভাঙড় এলাকায় জমি ও জীবিকা রক্ষা কমিটির সমর্থনে ৫ জন নির্দল প্রার্থীর জয়৷ তাঁরা যাতে মনোনয়ন জমা না দিতে পারেন, তার জন্য ব্যাপক সন্ত্রাস ছড়ানো হয়েছিল ভাঙড়ের বিস্তীর্ন এলাকায়৷ শেষ পর্যন্ত তাঁরা হোয়াটস অ্যাপ–এর মাধ্যমে মনোনয়ন জমা দেন, যা জেলাশাসক গ্রহণ করেন৷ এই জয় নিশ্চিতভাবেই গণতন্ত্রের৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য