1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিজেপি সরকার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেটাই করছে’

২২ অক্টোবর ২০২০

এই কলকাতাই তাবলিগের সমালোচনা করেছিল না? এই শিরোনামের প্রতিবেদনটি পড়ে এক পাঠকের মন্তব্য ‘সময়ের সাহসি উচ্চারণ’৷ অনেকেই তার সাথে একমত৷ তবে সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ৷

https://p.dw.com/p/3kHfA
কলকাতায় পুজোর ভিড়ছবি: Sudipta Bhoumick

‘‘হিন্দু নয়, মুসলমান নয়, মানুষ হিসেবে সবাইকে সমানভাবে দেখুন,’’ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় সবাইকে অনুরোধ করেছেন পাঠক শাওন৷ শাওনের সাথে একমত প্রকাশ করে জামাল উদ্দিন লিখেছেন, সময় উপযোগী প্রতিবেদন, ধন্যবাদ৷ এ বিষয়ে পাঠক রফিকুল ইসলামেরও একই ভাবনা৷ ডয়চে ভেলের সাংবাদিকরা চোখমুখ খোলা রাখেন রিপোর্টটি মনে হয়েছে পাঠক রফিকুল ইসলাম রুবেবের কাছে৷ পাঠক শাহাদাত হোসেনের শাহেদ সরাসরি মন্তব্য করেছেন, ‘‘সময়ের সাহসি উচ্চারণ৷’’ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি পাঠকদের সামনে তুলে ধরার জন্য ডিডাব্লিউকে ধন্যবাদ দিয়েছেন রাসেল আহমেদ৷

‘‘কলকাতায় পূজা নিয়ে যেটা চলছে সেটা অনুচিত তবে সেটা দিয়ে তাবলীগকে জাস্টিফাই করা যায় না৷ তাবলিগের সময় স্ট্রিক্ট লকডাউন ঘোষণা ছিল, জনগনের বাইরে বেরোনো মানা ছিল এখন সে পরিস্থিতি নয়৷ তবুও মানুষ ভুল করছে অপ্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে৷’’ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই মতামত জানিয়েছেন পাঠক সাহা আশীষ৷

তবে পাঠক শাহ আলম দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘তাবলিগের সময় সেখানে করোনা কোন সাবজেক্ট ছিল না৷ সেখানে সাবজেক্ট ছিল মুসলিম ও ইসলাম ধর্ম৷ আর মুসলমান ও ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলার ও দু কলম লেখার লোকের অভাব নাই৷ দুর্গাপূজায় করোনার প্রতিরোধ কোন সামাজিক দূরত্ব মানা হবে না৷ তারপর ও কথা বলার কেউ থাকবে না৷’’

আর পাঠক জিল্লুর রহমান মনে করেন, কোন ধর্মের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা কারও কাম্য নয় কিন্তু বিজেপি সরকার মানুষের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেটাই করছে৷

পাঠক আলি আজহারের ধারণা, মানুষ এখন করোনাকে আর আগের মত ভয় পায়না৷ শুরুতে করোনাকে নিয়ে যে ভয় আতঙ্ক ছিল, এখন সেটা নেই বলেই নাকি পূজায় এত ভিড়, ধর্ম কোনো বিষয় নয়৷

আর মাহি ইসলাম শামী জানিয়েছেন, ‘‘দি‌ল্লি সরকার তাব‌লিগওয়ালাদের ১৫ দিন হোম কোয়া‌রেন্টানে রে‌খে কাউ‌কেই পজেটিভ পায়‌নি৷ প‌রে দি‌ল্লি কর্তৃপক্ষ তা‌দের বাড়ি চ‌লে যাওয়া অনুম‌তি দি‌য়ে দেয়৷ অথচ ক‌রোনা ছাড়‌নোর কথা ব‌লে মুসলমান‌দের উপর যে তান্ডব চালা‌নো হয় সেটা কারো প‌ক্ষেই মানা সম্ভব নয়৷’’

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন