1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পশ্চিমা বিশ্বকে ধরতে চায় চীন

২৪ জুলাই ২০১০

বিশ্বে এখন চীনের অবস্থান অনেক দিক থেকেই শক্ত৷ দেশটি এখন চাচ্ছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে৷

https://p.dw.com/p/OTmV
যুক্তরাষ্ট্রের উন্নতিতে চীনা মেধাবীদের অবদান কম নয়ছবি: AP

তাইতো সরকার চায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের যে মেধাবী মানুষগুলো আছেন তাঁরা ফিরে আসুক৷

কিন্তু শুধু ফিরে আসতে বললেই তো আর হবেনা৷ সেজন্য তাঁদেরকে দিতে হবে পর্যাপ্ত আর্থিক সুযোগ-সুবিধা এবং গবেষণা করার জন্য যথেষ্ট অর্থ৷ আর সেটাই শুরু করেছে সরকার৷ তাইতো ফিরে আসতে শুরু করেছেন মেধাবীরা৷

তেমনি একজন রাও ই৷ কাজ করতেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েষ্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ ২০০৭ সালে দেশে গিয়ে যোগ দেন পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ কিন্তু এর পেছনে দেশপ্রেমের অবদান খুব সামান্যই বলে জানালেন তিনি৷ তাহলে কোন বিষয়টি তাঁকে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে? উত্তর- চীনের অর্থনৈতিক উন্নতি৷ যেটা ক্রমেই বাড়ছে৷ তাইতো সরকার পর্যাপ্ত অর্থ ঢালতে পারছে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে৷

এক হিসেবে দেখা গেছে, গত বছর প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার মেধাবী চীনা দেশে ফিরে গেছেন৷ এর আগের বছরের তুলনায় সেটা প্রায় ৫৬ শতাংশ বেশি৷

কিন্তু অবস্থা এমন ছিলনা৷ সরকারি হিসেব বলছে, ১৯৭৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত প্রায় ১৬ লক্ষ চীনা শিক্ষার্থী বিদেশে যায় পড়তে৷ তার মধ্যে দেশে ফিরে এসেছিল মাত্র সাড়ে চার লক্ষ৷

রাও-এর মতো আরেকজন হলেন মলিকিউলার বায়োলজিস্ট শি ইগং৷ তিনি বিখ্যাত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পদক জয়ী অধ্যাপক ছিলেন৷ দু'বছর আগে তিনি ফিরে যান চীনে৷ ইগং-এর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতিরে পেছনে চীনাদের অবদান অনেক৷

রাও এবং ইগং দুজনেই এখন চেষ্টা করছেন, আরও মেধাবীদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে চীনে এখনও যে ধরণের বাধা রয়েছে সেগুলো দূর করতে৷ এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে চীন পশ্চিমা বিশ্বকে ধরে ফেলতে পারবে বলে মনে করছেন রাও৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই