1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজয় দিবস উদযাপনে বাড়তি নজর রাশিয়ায়

৮ মে ২০২২

৯ মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে রাশিয়া৷

https://p.dw.com/p/4AzZr
Probe für die Militärparade zum Tag des Sieges in Russland
ছবি: Alexander Zemlianichenko/AP Photo/picture alliance/dpa

সোমবার দিনটি উদযাপন ঘিরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের নতুন কোন ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

ঐতিহাসিক কারণে ইউরোপে বিভিন্ন দেশও ভিন্ন নামে দিবসটি পালন করে৷ ফ্রান্স ও স্লোভাকিয়াতে এদিন সর্বাত্মক ছুটি পালিত হয়৷ নাৎসিদের বিরুদ্ধে যারা জার্মানিতে লড়াই করেছেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্মরণে ৮ মে দিবসটি পালন করে বার্লিন৷ নেদ্যারল্যান্ডসে এই দিবসটি পালিত হয় ৫ মে৷ আর রাশিয়া এটিকে বিজয় বা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ৯ মে৷ এ বছর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া তা কিভাবে উদযাপন করবে সেদিকে নজর সারা বিশ্বের৷

গত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন দিনটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ জার্মান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের ২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ দিনটিকে সামনে রেখে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে ইতিহাসের একপাক্ষিক বর্ণণাই তুলে ধরছেন পুটিন৷ চলতি বছর এ দিনটিকে ঘিরে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে নতুন করে তিনি অপপ্রচার ছড়াতে পারেন এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের৷

জার্মানির ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক দলের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রোডেরিখ কিজেভেটার মনে করেন, পুটিন এই দিন ইউক্রেন যুদ্ধে নিয়োজিত হাজার হাজার সেনা সদস্যকে প্রভাবিত করতে পারেন৷ তথ্য অনুযায়ী, দেশটির অধিকৃত বন্দরনগরী মারিউপলে বড় ধরনের সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করতে পারে রুশ বাহিনী৷

এদিকে দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানী কিয়েভে আয়োজিত অনু্ষ্ঠানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কি বলেন, ‘‘আবারো শয়তান ফিরে এসেছে, ভিন্ন নামে  এবং ভিন্ন স্লোগান নিয়ে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘তবে এই শয়তান তার কৃতকর্মের দায় এড়াতে পারবে না৷ কোনো বাংকারেও লুকিয়ে থাকতে পারবে না৷’’  

জার্মানিতে পুটিনপন্থী সমাবেশের আশঙ্কা 

এদিকে দিনটি উপলক্ষ্যে জার্মানিতে অবস্থানরত রাশিয়ানদের অনেকেই পুটিনের সমর্থনে সমাবেশের আয়োজন করতে পারেন বলে জানিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা৷ তাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির বিভিন্ন শহরে গাড়িতে নিষিদ্ধ ‘জেড চিহ্ন' প্রদর্শন করতে পারেন তারা৷

ডি ভেল্ট পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসিডেন্ট থমাস হালডেনভাং বলেন, রাশিয়ার অপপ্রচার ছড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস হতে পারে এটি৷

তিনি বলেন, ‘‘পুরো জার্মানিতেই গাড়ির প্যারেড ও সমাবেশ হতে পারে৷ জেড চিহ্ন নিয়ে তারা এমন প্যারেড বা সমাবেশে অংশ নিতে পারে৷''

ইউক্রেন হামলার সময় রাশিয়ার অনেক সেনাবহরে ইংরেজি জেড অক্ষরের প্রতীকটি দেখা গেছে৷ পরে জার্মানির কয়েকটি রাজ্য এই চিহ্ন ব্যবহারকারীকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সমর্থক বলে চিহ্নিত করে৷

পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানী বার্লিনসহ বড় রাজ্যগুলোতে নিরাপত্তারক্ষীরা বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ 

আরআর/এফএস (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান