1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্য ডিএএডি-র বৃত্তি

২৬ জুলাই ২০১০

জার্মানির যে সব প্রতিষ্ঠান বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি দিয়ে থাকে তার মধ্যে ডিএএডি অন্যতম৷ সারা বিশ্বে যত বৃত্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ডিএএডি তার মধ্যে বৃহত্তম, অর্থাৎ ডিএএডি সব চেয়ে বেশি বৃত্তি দিয়ে থাকে৷

https://p.dw.com/p/OUaD
উচ্চ শিখরে উঠতে হলে প্রয়োজন শিক্ষা ৷ছবি: AP

ডিএএডি অর্থাৎ জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৫ সালে৷ডিএএডি এ পর্যন্ত প্রায় দেড় কোটি দেশি-বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীকে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করেছে৷ মাস্টার্স, ডক্টরেট এবং পোস্ট ডক্টরেটের জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত বৃত্তি দিয়ে থাকে৷ তবে শুধু বৃত্তি দেয়াই ডিএএডি-র কাজ নয়৷ জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলায় ডিএএডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷ এর পাশাপাশি রয়েছে জার্মান ভাষাকে জার্মানির প্রান্ত ছাড়িয়ে আরো দূর-দূরান্তে নিয়ে যাওয়া৷ উন্নয়শীল দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও ডিএএডি কাজ করে যাচ্ছে৷

ডিএএডি-র মূল লক্ষ্য হল বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্য আনা, গবেষণামূলক কাজে উৎসাহিত করা৷ তবে এক্ষেত্রে খুব ভাল ছাত্রছাত্রীরাই ডিএএডি-র দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম৷

যখন কোন ছাত্র-ছাত্রীকে গবেষণা বা উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি দেওয়া হয় তখন সেই ছাত্র বা ছাত্রীকে এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে, সে যে কোন দেশে গিয়ে সেই বিষয়ের ওপর নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়৷ বিভিন্ন ডক্টরেট কোর্সের একটি অংশ হচ্ছে, অ্যামেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত সেমিনারে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখা৷ এক্ষেত্রে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ সাফল্যের সঙ্গেই তা করে যাচ্ছে৷

Elite Unis Albert-Ludwigs-Universität Freiburg
ছবি: AP

ডিএএডি-র আরেকটি লক্ষ্য হল জার্মানি, জার্মান ভাষা এবং জার্মান সংস্কৃতিকে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যে ছড়িয়ে দেওয়া৷ শুধু দেশেই নয় বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ডিএএডি-র বিভিন্ন কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা তার কর্মসূচির মধ্যে পড়ে৷

ডিএএডি কর্মকর্তার পরামর্শ

দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা,নেপাল এবং ভুটান থেকে ছাত্র-ছাত্রী আনা, তাদের পড়াশোনার বিষয়টি দেখছেন সুজানে শ্যার্ৎসার৷ তিনি জানালেন, এই মুহূর্তে ঠিক কতজন ছাত্র-ছাত্রী দক্ষিণ এশিয়া থেকে এসেছে জার্মানিতে৷ তিনি জানালেন, ‘‘ ২০০৯ সালে ডিএএডি প্রায় ৬ হাজার ৮শ ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি দিয়েছে জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য৷ এর মধ্যে অবশ্য অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে৷ বাংলাদেশ থেকে এসেছে ১১৪ জন এবং ভারত থেকে ৯০৪ জন৷''

যেসব ছাত্র-ছাত্রী জার্মানিতে আসে তাদের কাছ থেকে কী আশা করা হয়? আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ঠিক কোন কোন যোগ্যতা প্রার্থীর থাকা চাই? যেসব যোগ্যতা থাকা আবশ্যক তার মধ্যে গবেষণা কাজের অভিজ্ঞতা খুবই জরুরি৷ এছাড়া আর কী প্রয়োজন? সুজানে শ্যার্ৎসার বললেন, ‘‘ আমরা তেমনভাবে কিছুই আশা করি না এর মূল কারণ হল যারা বৃত্তির জন্য আবেদন করে তাদের প্রোফাইল দেখেই আমরা চমকৃত হই৷ তাদের যোগ্যতা প্রশংসা করার মত৷ কারণ প্রাথমিক বাছাই করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো৷ যোগ্য প্রার্থীকেই ‘বৃত্তি দেওয়া যেতে পারে' বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জানায়৷ তবে আমরা যা আশা করি তা হল, বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পড়াশোনা শেষ করবে এবং নিজ দেশে ফিরে যাবে৷ পরবর্তীতে ডিএএডি-র সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে৷ সেটাও আমরা আশা করি৷''

মাস্টার্স, ডক্টরেট এবং পোস্ট ডক্টরেটের জন্য ডিএএডি সাধারণত বৃত্তি দিয়ে থাকে৷ তবে ডক্টরেটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ সুজনে শ্যার্ৎসার জানান,‘‘ আমাদের কাছে সব চেয়ে বেশি আবেদন পত্র আসে পিএইচডি-র জন্য৷ পিএইচডি-র জন্য সব বিষয়েই অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় এরকম যে কোন বিষয়েই যে কেউ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারে৷ পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকেই আমাদের কাছে আবেদন পত্র আসে৷ এছাড়া মার্স্টাসের জন্যও আমরা বৃত্তি দিয়ে থাকি৷ তা অবশ্য উন্নয়শীল দেশগুলোর ক্ষেত্রেই বেশি প্রযোজ্য৷ যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, নিজেদের আরো একটু এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়– তাদের আমরা মাস্টার্সের জন্য নিয়ে আসি৷''

শেষ কথা হল ডিএএডি-র বৃত্তির জন্য আবেদন করতে নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নেই৷ শুধু একটি বিষয়ের দিকে নজর রাখা হয় প্রয়োজন তা হল পিএইচডি-র জন্য আবেদন করতে হলে ত মাস্টার্স শেষ করার ৬ বছরের মধ্যেই করতে হবে নয়তো আবেদন পত্র খারিজ করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এ প্রসঙ্গে সুজানে শ্যার্ৎসারের পরামর্শ,‘‘ নির্দিষ্ট বয়সসীমার বিধানটি আগে ছিল এখন তা তুলে দেওয়া হয়েছে৷ তবে এখন আমরা যে শর্ত দেই তা হল শেষ যে ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করা হয়েছে তার ৬ বছরের মধ্যেই আমাদের কাছে আবেদন করতে হবে৷ যদি বিরতি বেশ দীর্ঘ হয় তাহলে প্রার্থীর আবেদন পত্রটি গ্রহণ করা হয় না৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক